দুই পা নিয়ে জন্মিয়ে বিশ্বকে এই পাঠ শেখালো কুকুর, জানলে অবাক হবেন আপনিও

জন্মের সময় বহু মানুষ আছেন যারা ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। শুধুমাত্র মানুষ নয় পশু পাখিদের মধ্যেও সেই ত্রুটি কিছু কিছু সময়ে দেখা যায়। সমস্ত মানুষ কিংবা পশুর মধ্যে গুণগত ত্রুটি থাকেই। কিন্তু শারীরিক ত্রুটি কার্যত হয়ে ওঠে চক্ষু লজ্জার কারণ। সমাজ থেকে কার্যত ব্রাত্য হয়ে যায়। কিন্তু চিন্তা করবেন না। আপনাদের এমন এক বিশ্বাসের গল্প বলবো যা দেখলে কার্যত আপনাদের বিশ্বাস করা বেশ কঠিন হবে।
২০০২ সালের ২৫ সে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA) এক সারমেয় জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। দেখা যায় সারমেয়টির (Dog) মাত্র তিনটি পা রয়েছে। একটি মারাত্মকভাবে বিকৃত তাই পিছনের দুটি পা একমাত্র ভরসা। যে কারণে মা সারমেয় থেকে মালকিন সবাই কার্যত তাকে পরিত্যাগ করে। তখন একটি মা এবং মেয়ের জুটি ছোট্ট সারমেয়টির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়। মিসেস জুড (Misses Jude) সেই ছোট্ট সারমেয়টির নাম দেন বিলিভ (Believe) অর্থাৎ ‘বিশ্বাস’।
যাকে একসময় সবাই ফেলে দিয়েছিলো সে এখন বিশ্বের সামনে পরিচিত প্রাণী। মিসেস জুড তাকে প্রথমে স্কেটবোর্ড বানিয়ে দেন। স্কেটবোর্ডে হেলান দিয়ে এবং পিছনের পা সামনে রেখে বিশ্বাসকে দীর্ঘক্ষণ নড়াচড়া করাতে শুরু করে। দুটি পা আছে তাহলে তো সে সোজা হয়েই দাঁড়াতে পারবে। সেই কারণেই মিসেস জুড তাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে শেখায়, জাম্পিং ব্যায়াম করা শেখায়।
ব্যাস কেল্লাফতে, এখন কার্যত দৌড়াচ্ছে বিশ্বাস। শুধু তাই নয় দীর্ঘ সময় সে সোজা হয়ে দুই পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। বিশ্বের সামনে কার্যত নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি। দেড় বছর কঠোর পরিশ্রমের পরেই এই ফল পেয়েছে সারমেয় ও তার মালিক। ‘নিরাময় মনোবিজ্ঞানী’ হিসাবেও কাজ করে বিশ্বাস। মিস জুড স্ট্রিংফেলো চাকরি ছেড়ে বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণের (World Tour) পরিকল্পনা করেছেন। যেখানে দুজনে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্ব দেখবেন। মা না হয়েও সন্তানের জন্য যা করেছেন মিস জুড তা দেখে কার্যত সম্পূর্ণ বিশ্ব তাকে দু হাত জোর করে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।