
‛বেনিআসহকলা’ নামটা আমাদের কারোর কাছেই নিশ্চই অজানা নয়। বেগুনি,নীল, আকাশি,সবুজ,হলুদ,কমলা,লাল এই ৭ রংকে একত্রে আমরা ‛বেনিআসহকলা’ বলে থাকি। মানুষের জীবনে রঙের ব্যবহারের কথা নিশ্চই নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। রং এমনই একটি জিনিস যা নিমেষেই মানুষের জীবনকে রঙিন করে তোলে। পাশাপাশি যেকোন জড় বস্তুকেও করে তোলে জীবন্ত। কিন্তু জানেন কি এই রঙের গুরুত্ব ঠিক কতখানি?
রাস্তার ট্রাফিকে লাল ও সবুজ আলো নিশ্চই সকলেই দেখেছেন। আর সেটি দিয়ে গাড়ি এবং মানুষ দুটোকেই কন্ট্রোল করে থাকেন ট্রাফিক পুলিশ। আর তা হয়ে চলেছে বছরের পর বছর ধরে। তবে, স্কুল বাসের রং কেন হলুদ করা হয় তা জানা আছে কি? পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ জায়গাতেই স্কুল বাসের রং হলুদ করা হয়। কিন্তু কেন করা হয় সেকথা বলতে গেলে বলে রাখি যে, এর পিছনে রয়েছে নিরাপত্তাজনিত বৈজ্ঞানিক কারণ।
তবে, কি সেই কারণ সেটাই আজ আপনাদের জানাবো। প্রথমেই বলে রাখি যে, হলুদ রংকে বলা হয় ‛হাইওয়ে ইয়েলো’ । স্কুল বাস ছাড়াও বিভিন্ন ট্যাক্সি ও অটোতেও হলুদ রং থাকে। আর এসবের কারনই হল নিরাপত্তা। আসলে লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। আর তাই লাল রং দূর থেকেও দেখা যায়। এটি হল বিপদ সংকেত। আর ঠিক তারপরই আসে হলুদ রং। যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য লালের থেকে একটু কম। তবে, নীলের চেয়ে বেশি।
আর সেই কারণেই স্কুল বাস হোক বা অটোতে হলুদ রং ব্যবহার করা হয়। যাতে এটিকে দূর থেকে দেখা যায়। এমনকি বৃষ্টি বা কুয়াশাতেও হলুদ রংকে নিমেষেই শনাক্ত করা যায়। হলুদ রঙের পেরিফেরাল দৃষ্টি লাল রঙের চেয়ে ১.২৪ গুন বেশি। আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে, বড় বড় ক্রেন গুলিতেও হলুদ রং করা হয়। আর তার একটাই কারণ হল দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা। তাহলে জেনে গেলেন নিশ্চই কেন স্কুল বাস, ট্যাক্সি, অটো, বুলডোজার এসবে হলুদ রং করা হয়।