
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবথেকে ব্যস্ততম রেল স্টেশন হাওড়া। মোট ২৩ টি প্লাটফর্ম যুক্ত এই স্টেশনের সাহায্যে আর ২০১৯ সালে করা সমীক্ষা বলছে প্রতিদিন ১০ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। ১৮৫৪ সালে এই স্টেশন উদ্বোধন ও ঠিক ১০০ বছর পর অর্থাৎ ১৯৫৪ সালে ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল শুরু করে। তবে হাওড়া স্টেশনের পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ইতিহাস।
স্টেশনে ১ থেকে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ওল্ড কমপ্লেক্সে। পাশাপাশি, ১৭ থেকে ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে নিউ কমপ্লেক্সে। এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগবেই তাহলে ১৬ নম্বর প্লাটফর্ম টি কোথায় গেল? আপনাদের জানিয়ে রাখি হাওড়া স্টেশনে কোনো ১৬ নম্বর প্লাটফর্ম নেই ও তার পিছনে কার্যত বড়ো একটি কারণ আছে। হাওড়া স্টেশনে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের জায়গায় পণ্য পরিবহণের জন্য একটি ডেডিকেটেড লাইন রয়েছে। যেটিকে “জিরো মাইল” হিসেবে অভিহিত করা হয়।
১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্টে এই “জিরো মাইল” থেকেই বাংলার প্রথম ট্রেন পাড়ি দিয়েছিল হাওড়া থেকে হুগলীর উদ্দেশ্যে। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ওই ট্রেন হাওড়া থেকে হুগলি পৌঁছবে এবং দুপুর একটার মধ্যে ট্রেনটি ফের হাওড়ায় ফিরে আসবে। কিন্তু মাঝ পথে অনেকটা সময় দেরি হয়ে যায়। স্টিম ইঞ্জিনকে ধোঁয়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে দেখা যায় যার জন্য সকলে ‘আগুনের রথ’ নামেও ডেকে ওঠেন।
আবার শিক্ষিত বাঙালি বাবুরা বলেন ট্রেন খুব জোরে ছোটে যে কারণে মানুষের বয়স বেড়ে যাবে। এই সকল ভয়ের কারণেই বহুদিন কিন্তু মানুষ ট্রেন চড়তেন না। পরে যদিও এসব কুসংস্কার ধীরে ধীরে কেটে যায়। তবে সেই থেকেই হাওড়া স্টেশনে ১৬ নম্বর প্লাটফর্মটি আর তৈরী করা হয়নি।