Unknown Facts : সাপের জিভ চেরা থাকে কেন? জানুন এর পিছনের আসল কারণ
আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিশেষ একটি অজানা তথ্য। সাপের জিভ চেরা থাকে কেন? ৯৯% মানুষই জানেন না এর উত্তর! আপনি কি জানেন?

সাপ নিয়ে কমবেশি আমাদের সকলের মনেই রয়েছে নানান কৌতুহল। সরীসৃপ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং বিষাক্ত হলো সাপ। একথা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। সাপ সম্পর্কে জানতে অনেকেই নানান ধরনের রিসার্চ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার করছেন পড়াশোনা। তবে শীতল এই সরীসৃপের সম্পর্কে একটা কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। সাপের জিভ মাঝখান থেকে কাটা থাকে কেন? আজকের প্রতিবেদনে রইল সেই উত্তর।
পুরাণ মতে, সাপের জিভ কাটা থাকার নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কারণ। মহাভারতের গল্পে রয়েছে সেই উল্লেখ। মহর্ষি কাশ্যপের তেরো পত্নীর মধ্যে অন্যতম হলেন কদ্রু। তিনি স্বামীর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন 1 হাজার নাগ সন্তানের। অন্যদিকে তাঁর আর এক পত্নী বিনতার প্রার্থনা ছিল 2 টি সন্তানের। সে দুই সন্তানের মধ্যে একজন হলেন গরুড়। অমৃত মন্থন এর সময় যখন উচ্চৈস্রবা নামক একটি ঘোড়া উঠে আসছিল তখন কাশ্যপের এই দুই পত্নী বাজি রাখেন।
একজন বলেন ঘোড়ার লেজের রং কালো আর অন্যজন বলেন সাদা। প্রতিযোগিতায় যে হারবে সে চিরকাল দাসী হয়ে থাকবে এমনটাই বাজি রেখেছিলেন তারা। এরপরেই ছলচাতুরী করে বাজিতে জেতার জন্য কুদ্রু তাঁর সাপ সন্তানদের আদেশ দেয় ঘোড়া লেজ তারা যেন এমন ভাবে ঢেকে রাখে যাতে সেটি কালো দেখায়। বাজিতে জিতেই বিনতাকে দাসী হিসেবে রেখে দেন তিনি। অন্যদিকে গরুড় মাকে মুক্ত করতে চাইলে সর্প পুত্ররা তাঁকে বলেন তাদের জন্য যদি সে অমৃত এনে দেয় তাহলেই মুক্তি পাবে তাঁর মা।
এরপর তাদের কথামতো অমৃত এনে দেয় গরুড়। যদিও সে সর্পদের বলে আগে স্নান করে তবে এই অমৃত গ্রহণ করা যাবে। অন্যদিকে তীক্ষ্ণ ধার বিশিষ্ট ঘাস অথাৎ কুশের ওপর অমৃতের পাত্র রেখে দেয় গরুড়। স্নান করে আসা মাত্রই সর্পকুল দেখল সেখানে নেই অমৃত। ফলে হতাশ হয়ে কুশ আসন চাটতে থাকে তারা। আর এরফলে জিভ কেটে যায় তাদের। এই সমগ্র কাজ ইন্দ্রের নির্দেশে করেছিলেন গরুড়।
যদিও এই গল্প মানতে রাজি নন বৈজ্ঞানীরা। বিজ্ঞান মতে যেহেতু সাপেদের কোনো ঘ্রাণ ইন্দ্রিয় নেই সে কারণেই জিভ দিয়ে নিঃশ্বাস নেয় সাপ। আর তাই মাঝখান থেকে কাটা থাকে জিভ।