Offbeat

Travel : অনেক হল একঘেয়ে দীঘা পুরী! এবারের ছুটিতে ঘুরে আসুন দুর্দান্ত এই জায়গা থেকে

Advertisement
Advertisements

Travel : মানুষ এখন তথাকথিত পাহাড়, সমুদ্র, ঝর্ণা ছেড়ে পরিপূর্ণ ভ্রমণে (Travel) বেশি মনোযোগ দিয়েছে। ফলে পাহাড়ের থেকে ন্যাশনাল পার্কে জঙ্গল সাফারি করতে বেশি ভালোবাসেন সকলে। চোখের সামনে রঙবেরঙের অজানা পাখি, হিংস্র পশু এসব কিছুই কার্যত বেশি আকর্ষণ করে। ন্যাশনাল পার্ক বলতেই হয়তো আপনাদের জিম করবেট কিংবা জলদাপাড়া অভয়্যারণ্যের নাম মনে আসবে। কিন্তু না, আজ আপনাদের রাজস্থানের একটি ন্যাশনাল পার্কের ভ্রমণ (Travel) করবো।

Travel

Travel Guide For Keoladeo Ghana National Park

  • উদ্যানের নাম – কেওলাদেও-ঘানা জাতীয় উদ্যান (Keoladeo Ghana National Park)
  • অবস্থান – ২,৭৮৩ হেক্টর জমি জুড়ে রাজস্থান রাজ্যের ভরতপুর জেলায় কেওলাদেও ঘানা জাতীয় উদ্যান অবস্থান করছে।
  • ইতিহাস – ১৯০০ সন ও তার আগে এটি মহারাজাদের আমলে শিকারের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত অঞ্চল ছিল। যেখানে রাজারা শখে শিকার করতে যেতেন। ১৯৭২ সন পৰ্যন্ত মহারাজাদের এখানে শিকার করার অনুমতি ছিল। ১৯৫৬ সনে এটি পক্ষী উদ্যানে পরিণত হয়। ১৯৮২ সনে এটিকে রাষ্ট্ৰীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

Travel : অনেক হল একঘেয়ে দীঘা পুরী! এবারের ছুটিতে ঘুরে আসুন দুর্দান্ত এই জায়গা থেকে

  • কি কি দেখবেন এই জাতীয় উদ্যানে –
  1. সবথেকে নজরকারে আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চীন এবং সাইবেরিয়ার প্ৰায় ৩৬৪টি প্ৰজাতির পরিযায়ী পাখি প্রতিবছর এখানে শীতকালে আসতে দেখা যায়।
  2. বিভিন্ন ছোট ছোট জলাভূমি আছে সেখানে ৫০টির থেকেও বেশি প্রজাতির মাছ দেখতে পাওয়া যায়।
  3. ১৩টি প্রজাতির বিষধর সাপ আছে সেখানে।
  4. জানা গেছে, গ্রেটার স্পটেড ঈগল, বুলবুল, পেইন্টেড ফ্রাঙ্কোলিন, এশিয়ান ওপেন-বিল্ড স্টর্ক, ওরিয়েন্টাল আইবিসের মতো বিরল প্রজাতির পাখি এখানে দেখা যায়।

Travel : অনেক হল একঘেয়ে দীঘা পুরী! এবারের ছুটিতে ঘুরে আসুন দুর্দান্ত এই জায়গা থেকে

  • কখন খোলা থাকে এই উদ্যান – কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান খোলার সময় শীতকালে সকাল ৬:৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৫ টা এবং গরমে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
  • কিভাবে ভরতপুর পৌঁছাবেন – কলকাতা থেকে সহজেই আপনি প্রথমে দিল্লী চলে যান। সেখান থেকে চলে যেতে হবে আগ্রা ও আগ্রা থেকে ভরতপুর মাত্র ১ ঘন্টার পথ। আবার বিমানে যেতে গেলে আপনি আগ্রার খেরিয়া বিমানবন্দরে চলে যাবেন। এটি ভরতপুরের সবথেকে কাছের বিমানবন্দর।
  • উদ্যানের প্রবেশ মূল্য – উদ্যানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু ভারতীয় পর্যটকদের জন্য প্রবেশ ফি ৫০ টাকা এবং বিদেশীদের জন্য এটি ৪০০ টাকা। যদি আলাদা ক্যামেরা থাকে তার জন্য টিকিট কাটতে হবে। জিপ লাইনিং, বার্মা ব্রিজ, পাইপ ওয়াক, লুপ ওয়াক, হরাইজন্টাল ল্যাডার মতো ভিতরে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার আছে সেগুলি করার জন্য আলাদা আলাদা টিকিট কাটতে হবে আপনাকে।