অনেক হল একঘেয়ে দীঘা-পুরী! পশুপাখিদের সাথে সময় কাটাতে ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে

১৯৯৭ সালে ‘ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ‘সুন্দরবন’। পশ্চিমবঙ্গের, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একদম নিচে ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই জায়গাটি। তবে জায়গাটির থেকেও সেই জায়গায় থাকা আসল প্রাণীটিকে নিজে চাক্ষুস করতে আসেন সকলে। ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ যা পৃথিবীর অন্য কোথাও আর দেখা যায় না তাই তো সেই বিশ্ব খ্যাতি জোড়া পশুকে দেখতেই দূরদুরন্ত থেকে ছুঁটে আসেন সকলে।
আজ আমাদের প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়েই সুন্দরবন ভ্রমণের দুর্দান্ত কিছু না জানা কথা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। ভারত সরকারের কাছে এই সুন্দরবনের ৩৪% ও বাংলাদেশ সরকারের অধীনে এই বনের ৬৬% বর্তমান। তবুও দেশ বিদেশ থেকে ভারতের মধ্যে দিয়েই কিন্তু সকলে সুন্দরবনকে উপভোগ করতে চান। সুন্দরী গাছের অধিপত্য বেশি হবার কারণেই এর নাম হয়েছিল ‘সুন্দরবন’।
বনে ২৯০ টি পাখি, ১২০ টি মাছ, ৪২ টি স্তন্যপায়ী, ৩৫ টি সরীসৃপ এবং আটটি উভচর প্রজাতি সহ ৪৫৩ টি বন্যপ্রাণীর বাসস্থান সরবরাহ করে। আশেপাশে এখন প্রচুর হোটেল ও কটেজ গড়ে উঠেছে। জানা যায় বনের মধ্যে এখনও ১৩০ টির কাছাকাছি বাঘ ও কয়েক হাজার চিত্রা হরিণ রয়েছে। নানান ধরনের পাখি, কুমির, সাপ সহ নানান প্রাণীদের বসবাস। অধিক এডভেঞ্চার যদি এই ট্যুরে করতে চান তার ব্যবস্থাও আছে।
আপনি লঞ্চ ভাড়া করে নদীর উপরেই রাত্রি বাস করতে পারবেন। কিন্তু বন দফতরের থেকে বিশেষ অনুমতি লাগবে। কলকাতা থেকে সুন্দরবন যেতে হলে ট্রেন পথ খুব সহজ হবে। শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে নামখানা লোকাল ধরে নামখানা পৌঁছে যাবেন ঘন্টা তিনেকের মধ্যে। নামখানা থেকে অটো ধরে সোনাখালি যেতে হবে । সেখান থেকে লঞ্চে করে সুন্দরবন পৌঁছে যাবেন। দুই রাত সুন্দরবনে কাটাতে আপনার মাথা পিছু ২৫০০-৩০০০ টাকা মতো খরচ হবে। তবে যা স্মৃতি নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন তা হয়তো এই অর্থের কাছে কিছুই না।