×
Offbeat

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে স্ত্রীর সাথে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে

পাঁচ তাঁরা হোটেল, বড়ো পাহাড় কিংবা উঁচু সমুদ্র সকলের পছন্দ হবে এমনটা নয়। যে কারণেই আপনার মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য হতে পারে ভিন্ন কোনো জায়গা। জঙ্গলে রাত কাটানো কিংবা ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফির শখ বহু মানুষের থাকে। যে কারণেই আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন যে তাদের জন্যই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মধুচন্দ্রিমার জন্য পেঞ্চের জঙ্গল হতেই পারে আপনার সেরা গন্তব্য।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে স্ত্রীর সাথে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে -

মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মাঝামাঝি জায়গায় পেঞ্চ অরণ্য তৈরী হয়েছে। হাওড়া থেকে আপনাকে নাগপুর স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। বিমানে করে যেতে গেলেও পৌঁছাতে হবে নাগপুর বিমান বন্দরে। সেখান থেকে জাতীয় উদ্যানের দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। দুই জায়গা থেকেই গাড়ি ভাড়া করে আপনি সেখানে পৌঁছে যেতে পারবেন। পেঞ্চের জঙ্গলে একাধিক রিসর্ট রয়েছে যেখানে আরামে রাত কাটাতে পারবেন।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে স্ত্রীর সাথে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে -

তবে যারা এডভেঞ্চার চাইছেন তাদের জন্য খোকা ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্পে রাত্রিবাস করতেই হবে। মাথা পিছু এই ভ্রমণের কেমন খরচ তা আমরা প্রতিবেদনের শেষের দিকে বলে দিচ্ছি। সকাল, দুপুর আর বিকেলে জঙ্গলে সাফারির ট্যুর করে কখন যে সারাটা দিন কেটে যাবে বুঝতেও পারবেন না। হুড-খোলা সাফারি ভ্রমণের সময়ে ঢিলছোড়া দূরত্বেই দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে স্ত্রীর সাথে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে -

ফোন হোক কিংবা বড়ো ক্যামেরা সর্বদা কিন্তু রেডি থাকতে হবে নাহলে সেই প্রাণীদের স্মৃতিতে বন্দী করতে পারবেন না। সম্পূর্ণ জঙ্গল জুড়ে রয়েছে সম্বর, নীলগাই, হরিণ, নেকড়ে, চিতাবাঘ, ময়ূরের মতো অজস্র পশু-পাখি। মাঝ রাতে কানে আসবে বাঘ কিংবা নেকড়ের গর্জন। ক্যাম্পের আসে পাশেও মাঝে মধ্যে বাঘ মামা কিন্তু ঢু মেরে যায়। দিন তিনেক যদি সেখানে গিয়ে থাকেন তাহলেই দুর্দান্ত মজা করতে পারবেন। মাথা পিছু ৮০০০-১০০০০ টাকা মতো খরচ হবে এই ভ্রমনে।