আর নয় একঘেয়ে দীঘা পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন কলকাতার কাছের এই সমুদ্র সৈকত থেকে

আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আগেই মৌসুনি দ্বীপে ছুটি কাটানোর ব্যাপারে প্রচুর মানুষ উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। আর আবারো ঠিক সেই ধরণেরই আরও একটি স্বল্প খরচের দুদিনের ছুটি কাটানোর দুর্দান্ত জায়গা নিয়ে হাজির হয়েছি। এখন মানুষ কাজের চাপে নিজের পরিবারের সাথেও সময় কাটাতে পান না। তবে পরিবার কিংবা মনের মানুষ একসাথে দুটো দিন কাটাতে কে না চায় বলুন।
আজ আপনাদের জানাবো ডায়মন্ড হারবার জেলার ‘বকখালি’ সি বিচ সম্পর্কে। সকাল সকাল শিয়ালদা স্টেশন থেকে নামখানা লোকালে উঠে পড়তে হবে। টিকিটের দাম মাত্র ২৫ টাকা আর নামখানা পৌঁছাতে সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘন্টার মতো। স্টেশনে নেমে টোটো করে আপনি বকখালি পৌঁছে যাবেন। চাইলে যদিও সেখান থেকে বাস করেও যেতে পারেন। আবার আপনি এসপ্ল্যানেড থেকে সরাসরি বকখালি বাসে করেও যেতে পারেন। বিচের পাশেই ভালো হোটেল আছে সেগুলি স্বল্প দামে আগে থেকেই বুক করে নিতে পারেন।
দুপুরের খাওয়া সেরে বিশ্রাম করে নিয়ে চলে যাবেন Crocodile project, বিশালক্ষী মন্দির দেখতে। ফিরে এসে সমুদ্রের ধারে বসে দূরে খোলা আকাশের সাথে এই দুর্দান্ত জলকে দেখবেন একসাথে মিশে যেতে। দ্বিতীয় দিনে হেনরি দ্বীপ, বেনফিশ, কার্গিল বিচ, ফ্রেজারগঞ্জ ব্রিজ এই জায়গা গুলিতে যেতে পারবেন। সাথেই লাল কাঁকড়ার ঝোল ও সামুদ্রিক মাছের সমাহারে সারবেন আহার। দুদিন মিলিয়ে মাথা পিছু খরচ ২০০০-২৫০০ টাকার মতো হবে।
তৃতীয় দিনের সকালে বাড়ি ফেরার পালা। সুন্দর এই কয়েকটা দিনের মুহূর্ত ফিরে এসে নিশ্চয়ই সবার সাথে ভাগ করে নেবেন। বকখালি গেলে আপনাদের জন্য রাত কাটানোর সবথেকে উপদেয় স্থান হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফিশারি বিভাগের তৈরী কটেজ গুলিতে। তাহলে আর দেরি কিসের এই পড়ন্ত শীতের মরসুমে চটপট বাজেটের মধ্যে প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন।