আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! মধুচন্দ্রিমায় অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে

বিয়ের দিন তো এগিয়ে আসছে কিন্তু মধুচন্দ্রিমায় যাবেন কোথায় সেটা এখন সবথেকে বড়ো চিন্তা। পাহাড় পছন্দ আপনাদের দুজনের কিন্তু যাবেন টা কোথায় সেটাই সবথেকে বড়ো চিন্তা। যাবেন নাকি মধুচন্দ্রিমায় ‘ইচ্ছেগাঁও’। খুব শীতকাতুরে না হলে এই ঠান্ডায় আপনার মধুচন্দ্রিমা সেখানে সারতে কিন্তু খারাপ লাগবে না। হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি নেমে পড়তে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাবেন কালিম্পং।
কালিম্পং মানেই কিন্তু আপনি পৌঁছেই গেছেন কারণ সেখান থেকে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিমি। তাই সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ইচ্ছেগাঁও পৌঁছে যাবেন খুব সহজে। পাহাড়ের গা ঘেঁষে দেখতে পাবেন হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র কাঠের বাড়ি। সেখানেই আপনাকে রাত কাটাতে হবে। রঙিন অর্কিড আর পাহাড়ি জংলা ফুলে পুরোপুরি ভরে থাকবে সেই গ্রাম।
সকালে পাহাড়ের উপর থেকে সূর্যের প্রথম কিরণের ফটো তুলতে ভুলবেন না কিন্তু। এই গ্রামের উপর মাঝেমাঝেই নেমে আসে পেঁজা তুলোর হালকা মেঘ তাই আপনি যে কোনো সময়ে মনে হবে আকাশের মধ্যে আছেন। সূর্য ডুবলেই এক আলাদা নিস্তব্ধতা গ্রাস করে এই গ্রামে। যেখানে থাকবেন সেই ঘরের থেকে জানলার পর্দা সরালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন।
ইচ্ছেগাঁও থেকে পায়ে হেঁটে ট্র্যাক করে সিলারিগাঁও ঘুরে আসতে আসতে পারেন। বনের মধ্যে সাল ও সেগুন গাছের উপর যখন সূর্যের কিরণ থাকবে সেই সময় হাঁটতে খারাপ লাগবে না। ইচ্ছেগাঁও ভ্রমণ করতে মোট মাথাপিছু ৫০০০ টাকার মধ্যে খরচ হবে। নিজের নতুন জীবন সঙ্গিনীকে এই নিস্তব্ধতার আড়ালে চেনার সুযোগ কিন্তু হাত ছাড়া করবেন না।