আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই সবুজদ্বীপ থেকে

সঠিক বাজেট ও অফবিট মধুচন্দ্রিমার জায়গা খুঁজছেন মনে হচ্ছে? পাহাড়ে যাবেন না সমুদ্রে সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না। আপনি নীল জলের মধ্যে করতে চান স্নান তাহলে অবশ্যই এই জায়গাটিতে আপনাকে যেতেই হবে। কিন্তু কোথায় যাওয়া যায় দিন রাত এক করে খুঁজলেও এই প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না। যাবেন নাকি আন্দামানের ‘হ্যাভলক দ্বীপ’ -এ।
প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মনোরম পরিবেশ মিলে চারপাশে নানান দ্বীপের সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের নীল জলের বুকে হারিয়ে যাওয়ার আদর্শ ঠিকানা এই হ্যাভলক দ্বীপ। কলকাতা থেকে বিমানে দুই ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন আন্দামান। পোর্টব্লেয়ারের থেকে ফিনিক্স বে জেটিঘাট থেকে ছাড়ে হ্যাভলক আইল্যান্ডে যাওয়ার সরকারি ফেরি৷ প্রাইভেট কিছু ক্রুজ়ও রয়েছে৷ ইচ্ছে করলে হেলিকপ্টার করেও সেখানে যেতে পারেন।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মানের এবং বিভিন্ন দামের হোটেল রয়েছে এখানে। মধুচন্দ্রিমার জন্য হানিমুন সুইট বুক করতে পারেন। ব্রিটিশ জেনারেল স্যার হেনরি হ্যাভলক-এর নামানুসারেই এই দ্বীপের নাম দেওয়া হয় ‘হ্যাভলক’। এই দ্বীপের সবথেকে বড়ো বিচ ‘রাধানগর বিচ’। বেশিরভাগ মানুষই এই জায়গায় থাকার চেষ্টা করেন। সেই দ্বীপে সাড়ে ৬ হাজারের মতো মানুষজন বসবাস করেন।
নীল দ্বীপ ও জলিবয় বিখ্যাত আরও দুইটি বিচ। ‘স্নোরকেলিং’ এর জন্য বিখ্যাত জায়গা দুটি। নাম না জানা রঙিন সব মাছ এবং প্রবাল প্রাচীর দেখলে আর ফিরতে চাইবে না মন। স্কুবা ডাইভিং করতে পারবেন এখানে। এলিফ্যান্ট বিচ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য বিখ্যাত। সপ্তাহ খানেকের মতো হাতে সময় থাকলে অনায়েসেই আপনি নিজের জীবনসঙ্গীনির সাথে ঘুরে আসতে পারবেন।