ভুলে যাবেন দীঘা-পুরীর সৌন্দর্য, ভ্যাপসা গরমে অবশ্যই ঘুরে আসুন দুর্দান্ত এই জায়গা থেকে

শীতকালের সময়ে গরম আর তীব্র গরমের সময়ে ঠান্ডার জায়গায় যেতে হবে। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে ঠান্ডার জায়গা ছাড়া কোনো গতি নেই। সেই কারণেই আজ আমাদের সাথে আপনার গন্তব্য সান্দাকফু (Sandakphu) ও ফালুট (Phalut)। বিখ্যাত এই দুটি জায়গায় প্রচুর মানুষ যান। তবে যাওয়ার আগে আপনার দরকার বিশেষ তথ্যের। অফিস থেকে ছুটি পেয়ে কিংবা পরিবারের চাপ সামান্য কাটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটিতে। পাহাড়-নদী-জঙ্গল এই তিনের সংমিশ্রনেই গড়ে উঠেছে সান্দাকফু-ফালুট।
কিভাবে যাবেন – প্রথমে ট্রেনে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাবেন মনোভঞ্জন। মানেভঞ্জন থেকেই মিলবে সান্দাকফু যাওয়ার ল্যান্ডরোভার। পারমিশন করিয়ে নেবেন মানেভঞ্জনের বন দফতরের অফিস থেকে। আবার ট্রেক করে সান্দাকফু-ফালুট যেতে পারবেন।
কথায় থাকবেন – মানেভঞ্জনে অসংখ্য থাকার জায়গা আছে। এক রাত থেকে পরের দিন সান্দাকফু যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সান্দাকফুতেও প্রচুর থাকার জায়গা আছে। এখানেও স্পট বুকিং করলে চলবে। আবার আপনি টেন্ট তৈরী করে ক্যাম্প বানিয়ে থাকতে পারেন।
কি কি দেখবেন – অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস সবথেকে ভালো সময় সান্দাকফু-ফালুট ঘুরতে যাওয়ার। এ সময় কাঞ্চনজঙ্ঘাও ভালো ভাবে দেখা যায়। তবে স্নোফল পেতে চাইলে জানুয়ারি থেকে মার্চ এর মাঝামাঝি যেতে হবে। সান্দাকফু (Sandakphu) পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম শৃঙ্গ যার উচ্চতা ৩৬৩৬ মিটার। এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে এবং মাকালু পৃথিবীর পাঁচটি সবচেয়ে উঁচু চূড়ার চারটিই সান্দাকফু থেকে দেখা যায়।
সান্দাকফু-ফালুট যাত্রার শেষ গন্তব্য ফালুট। সান্দাকফু থেকে ২৩ কিমি দূরে। ফালুট টপের উচ্চতা ৩৬০০ মিটার। অনেকে সান্দাকফু চড়ে তারপরে ফালুট চড়ে। তবে একবারে করা যে কতটা কষ্টকর তা বলার দরকার হবে না। ফালুট থেকে হিমালয়কে খুব কাছে ও সুন্দর দেখা যায়। রাম্মাম, গোর্কে গ্রাম, শ্রীখোলা, সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যান এসব কিছুই দেখতে পারবেন আপনি এই ট্রিপের মধ্যে।
খরচ – মাথাপিছু এই ভ্রমণে খরচ ধরবেন ৮০০০-১০০০০ টাকা। পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য একটু খরচ বেশি হবে। তবে বুঝে খরচ করলে আপনি টাকা বাঁচাতে পারবেন।