আর নয় দীঘা-পুরী-মন্দারমণি! কাছের মানুষের সাথে সময় কাটাতে অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে

আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আগেই আপনাদের কাছে মৌসুনি দ্বীপ ও বকখালির প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হয়েছিলাম। এই সময়ে দীঘা মন্দারমণি ছেড়ে অনেকেই একদিনের পিকনিক কিংবা এক রাতের জন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিশেষ কিছু জায়গাকে বেঁছে নিচ্ছেন ভ্রমণের জন্য। তেমনই আরও একটি দুর্দান্ত জায়গা নিয়ে আপনাদের জন্য হাজির হয়েছি। স্বল্প খরচে একদিনের ছুটি কাটানোর দুর্দান্ত জায়গা ‘লক্ষীপুর সি বিচ’।
সকালে শিয়ালদা স্টেশন থেকে নামখানা লোকালে উঠে পড়তে হবে। টিকিটের দাম ২৫ টাকা আর নামখানা পৌঁছাতে সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘন্টার মতো। স্টেশনে নেমে বাস ধরে আপনি বকখালি পৌঁছে যাবেন যার জন্য এক ঘন্টা সময় লাগবে। সেখান থেকে লক্ষীপুর সি বিচ পৌঁছে যেতে হবে আরও মিনিট কুঁড়ি সময় লাগে পায়ে হেঁটে তাই একটা টোটো ভাড়া করে নেওয়াই ভালো। আবার আপনি এসপ্ল্যানেড থেকে সরাসরি বকখালি বাসে করেও যেতে পারেন। বিচের পাশেই দু একটি ভালো হোটেল আছে সেগুলি স্বল্প দামে আগে থেকেই বুক করে নিতে পারেন।
দুপুরের খাওয়া সেরে বিশ্রাম করে নিয়ে চলে যাবেন লক্ষীপুর গ্রাম দেখতে। সবুজ প্রকৃতির মাঝেই বাংলার মেঠো গন্ধ শহরের কোলাহলকে ভুলিয়ে দেবে। সকালে এই সমুদ্রে জোয়ার থাকে তাই সেই সময় মানুষ স্নান করে। পায়ে হেঁটে Crocodile project, বিশালক্ষী মন্দির দেখতে পারবেন। ফিরে এসে সমুদ্রের ধারে বসে দূরে খোলা আকাশের সাথে এই দুর্দান্ত জলকে দেখবেন আকাশের সাথে মিশে যেতে।
চাষীদের থেকে মাছ কিনে এখানে বিভিন্ন দোকানে রান্না করিয়ে নিয়ে দুপুরে খেতে পারেন। এমন শান্ত পরিবেশে চাইলে এক রাত কাটাতে পারবেন। দ্বিতীয় দিনে বকখালি ফিরে এসে হেনরি দ্বীপ, বেনফিশ, কার্গিল বিচ, ফ্রেজারগঞ্জ ব্রিজ এই জায়গা গুলিতে যেতে পারবেন। একদিনের জন্য ঘুরতে গেলে মাথা পিছু ৫০০-৭০০ টাকার মতো খরচ হবে। তাহলে আর দেরি কিসের এই পড়ন্ত শীতের মরসুমে চটপট বাজেটের মধ্যে প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন লক্ষীপুর সি বিচের।