আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! চটপট ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে

পাহাড়ে ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। তাই বলে সবসময় দার্জিলিং ঘুরবেন সেটাও ঠিক নয়। রাজ্যের বাইরে বেরোলেই যা খরচ সেটা ভাবলেই আর ইচ্ছা করে না। ঘুরতে যেতে চাইলে কম বাজেটেই যেতে পারবেন তাই তো এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো দার্জিলিং জেলার একটি শৈল শহর ‘কার্শিয়াং’ -এর সম্পর্কে। সুন্দর ও ছোট্ট এই শহরে ঘুরতে গেলে আপনি অবশ্যই আর এই কোলাহলে ফিরে আসতে চাইবেন না।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ‘কার্শিয়াং’ ১৪৫৮ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। যে কারণে সারাবছরই কম বেশি ঠান্ডা কিন্তু লেগেই থাকে। কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৩০ কিমি। তবে পাহাড়ি রাস্তার কারণে এই ৩০ কিমি যেতে অনেকটাই সময় লাগে। শিয়ালদাহ বা হাওড়া থেকে মেল ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে চলে যাবেন ‘কার্শিয়াং’। বিমানে গেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে।
মার্চ থেকে মে এবং আগস্টের শেষ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই জায়গায় বেড়ানোর সবথেকে সুন্দর সময়। মাকাইবাড়ি টি এস্টেট, ডিয়ার পার্ক, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু মিউজিয়াম, দার্জিলিং হিমালয়ান মিউজিয়াম ঘুরতে পারেন প্রথম কয়েকদিনে। হোটেল বা রিসোর্টে ফিরে এসে সন্ধের সময় চায়ে চুমুক দিতে গিয়ে শান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। বাঙালি খাবারের সম্ভার পাবেন সেখানে হোটেল গুলিতে।
পরের দিন হাতে সময় নিয়ে বেরিয়ে কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন রাইড করবেন। পাহাড়ের গা ঘেঁষা পথ দিয়ে এঁকে বেঁকে চলে যাবে আপনার টয় ট্রেন। তার মাঝেই পকেট থেকে স্মার্ট ফোন বের করে এই এডভেঞ্চাচার স্মৃতিতে ধরে রাখবেন। ডাউহিল এবং ডো হিল পার্ক, গিদ্দা পাহাড় ভিউ পয়েন্ট, ঈগল’স ক্রাগ এসব কিছুই দেখতে পারবেন সময় করে। কার্শিয়াং থেকে বাড়ি ফিরেও যেন এই ছোট ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বেশ কয়েকদিন আপনি নিজের মাথা থেকে বের করতে পারবেন না।