×
Offbeat

আর নয় একঘেয়ে দীঘা পুরী! মধুচন্দ্রিমায় অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে

বিয়ের আগের সব প্ল্যানিং তো বেশ জোরকদমে করে ফেলেছেন। তবে মধুচন্দ্রিমা কোথায় সারবেন সে জায়গা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি। আর পারবেনই বা কি করে দুজনের মতের মিল হয়েই উঠছে না। তবে পাহাড়, নদী ও জঙ্গল একসাথে যদি পান তাহলে নিশ্চয়ই দুজনের মতের মিল হতে পারে। জীবনসঙ্গীর হাতে হাত রেখে জীবনের নতুন পর্বের শুরু করুন কালিম্পংয়ের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম লাংসেল -এ।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা পুরী! মধুচন্দ্রিমায় অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে -

জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে লাংসেল অবস্থিত। সবুজে ঘেরা ছোট্ট এই গ্রামে যেতে হলে হাওড়া থেকে ট্রেনে করে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যাবেন কালিম্পং। আবার সেখান থেকে আরেকটি গাড়িতে অল্প কিছু ক্ষণের পথ গেলেই পৌঁছে যাবে লাংসেলে। দুর্দান্ত পাহাড়ের কোলে ছোট রিসর্ট ও হোম স্টে বুক করে কাটাতে হবে রাত।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা পুরী! মধুচন্দ্রিমায় অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে -

লাংসেলের পরিবেশে মন শান্ত হয়ে যাবে। সকালে পাখির আওয়াজ ও রাতের বেলা ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ যেন আপনার সম্পর্কর সাক্ষী থাকবে। পাহাড় গা বেয়ে নেমে এসেছে ঝর্নার জল। ছোট ছোট ট্রেকিং পয়েন্ট আছে সেখান থেকে পায়ে হেটেও ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। নানা ধরনের পাহাড়ি ফুলের মাধ্যমে মন ভরিয়ে তুলবে অনায়েসেই। সেখানে গেলে এলাচের বাগান দেখতে ভুলবেন না যেন।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা পুরী! মধুচন্দ্রিমায় অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে -

লাংসেলের পাশেই আরও একটি সুন্দর গ্রাম রয়েছে যার নাম ঝান্ডি। আপনি চাইলে সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন। সব মিলিয়ে এই ভ্রমন আপনার জীবনের বিশেষ দিনগুলি হিসাবে যুক্ত হবেই। চার দিনের মধ্যে আপনি এই জায়গায় থাকতে পারেন। তবে যদি চান তাহলে সেখান থেকে ফেরার পথে কালিম্পঙ ঘুরে আসতে পারবেন।