আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী-দার্জিলিং! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন দুর্দান্ত এই জায়গা থেকে, পড়ে যাবেন প্রেমে

আসাম রাজ্যটির সাথে পশ্চিমবঙ্গের বেশ মিল আছে। বাংলা ভাষায় কথা বললেও দুজনের ভাষা গত বেশ পার্থক্য আছে। রাজ্য দুটিকে ঘিরে আছে বাংলাদেশ। আসামের পর্যটন বেশ দেশ জুড়ে নাম করেছে। বিশেষ করে এখানকার হাফলং (Haflong) শহর পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায়। পাইন আর নীল অর্কিডে ছেয়ে থাকে এই শহর। আপনাদের জানিয়ে রাখি আসামে কিন্তু এই একটি মাত্র শৈল শহর আছে।
অবস্থান – ২২৩০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হাফলঙ অসমের একমাত্র শৈলশহর। ডিমা হাসাও জেলার সদর হাফলঙ কথার অর্থ সাদা উইয়ের ঢিবি।
কিভাবে যাবেন – কলকাতা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস করে গুয়াহাটি পৌঁছে যান। ১০ মিনিট পর গুয়াহাটি ছেড়ে নিউ হাফলং পৌঁছানোর জন্য ট্রেন ছাড়বে। বিমানে গুয়াহাটি এসে সেখান থেকে বাসে বা গাড়িতে যাওয়া যায় হাফলং।
কোথায় থাকবেন – নানা মানের নানা দামের বেসরকারি হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। সেখানেই আপনাকে রাত কাটাতে হবে।
কখন যাবেন – হাফলঙ যাওয়ার সব চেয়ে ভালো সময় এপ্রিল থেকে জুন। এই সময় আকাশ পরিষ্কার থাকে। খুব গরম বা ঠান্ডা কিছুই লাগবে না।
কি কি দেখবেন – পায়ে পায়ে সম্পূর্ণ শহর ঘুরে নেওয়া যায়। আর আশেপাশে যেতে হলে গাড়ি ভাড়া করে নেবেন দিন দুয়েকের জন্য। পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসা ঝরনার জলে দিব্যি স্নান করতে পারবেন আপনি। নানা বর্ণের অর্কিডের সমাহার আছে সেখানে।, শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে হাফলঙ লেক আছে। যেখানে মনের মানুষের সাথে লেকের জলে বোটিং করতে পারবেন।
এছাড়াও ঝুলন্ত ব্রিজ, এখানকার লেক ও অন্যান্য জলাশয়ে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি দেখতে পাবেন। বরাইল অভয়ারণ্যে গাড়ি ভারকরে যাবেন। সেখানে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার, ক্লাউডেড বিয়ার-সহ বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে। হাফলং থেকে ১৮ কিমি দূরের বেনদাও বাগলাই ওয়াটারফলসে আপনি ট্রেক করতে যেতে পারেন। কার্যত অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ আসামের এই শৈল শহরের ভ্রমণ হবে এক অন্যরকম।