Travel : অনেক হল একঘেয়ে দীঘা-পুরী! স্বাদ বদলাতে অবশ্যই ঘুরে আসুন কাছের এই দুর্দান্ত সী বীচ থেকে

মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন কিছু ভাবলেন? বিয়ের এই বাড়তি খরচের পরে একটু স্বস্তি তো নিশ্চয়ই দরকার। তবে বৌয়ের মন না রাখলে কিন্তু প্রথম থেকেই চলতে থাকবে দাম্পত্য কলহ। নতুন বিয়ে করেছেন মানে মধুচন্দ্রিমার তো যেতেই হবে। তবে কোথায় যাবেন অল্প সময়ের জন্য? গোপালপুর সী বীচে যাবেন নাকি! ভাবছেন সেটা আবার কোন রাজ্যে। চিন্তা নেই আসুন আজ আপনাদের এই দুর্দান্ত জায়গাটির সম্পর্কে জানাবো যা এর আগে কোনোদিন হয়তো শুনেও দেখেননি।
গোপালপুর কিভাবে যাবেন – পুরী থেকে ১৭১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোপালপুর। হাওড়া থেকে অন্ধ্রপ্রদেশগামী ট্রেনে বেরহামপুর স্টেশনে নামতে হবে আপনাকে। বাঙালির চিরচেনা পুরীর রাজ্য ওড়িশাতে থাকলেও পুরীর ভিড়, হই-হট্টগোল কিছুই নেই সেখানে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে চলে যাবেন গোপালপুর।
কোথায় থাকবেন – সিজনেও এখানে খুব একটা ভিড় হয় না। হোটেল আগে থেকে বুক করা থাকলে ভালই, কিংবা এখানে পৌঁছেও বেছে নিতে পারেন পছন্দের থাকার জায়গা। বীচের ধারেই গড়ে উঠেছে বেশ কিছু হোটেল যেখানে রাত কাটাতে পারবেন। তবে খরচ পড়বে একটু বেশি।
কি কি দেখবেন – বিয়ের পরে বলা হয় আগে কোনো ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার জন্য। তাই গোপালপুর গেলে অবশ্যই পুরীতে জগন্নাথ দেবের মন্দিরেও মাথা ঠেকিয়ে আসতেই পারেন।
এখান থেকেই গা়ড়ি করে ঘুরে নেওয়া যায় ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ অর্থাৎ দুর্দান্ত সৌন্দর্য পূর্ণ স্থান দারিংবাড়ি থেকে। শীতের দিকে গেলে আপনার চোখে বরফের অংশ আটকে যেতেই পারে। সকাল ও সন্ধের সময় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখলে আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না আপনার।
নির্মল ঝোরা, তারাতারিণী মন্দির পরিদর্শন করে পুজো দিয়ে আসতে পারেন। রম্ভা, চিল্কা হ্রদ, বারাকুল এসব জায়গা ঘুরতে পারবেন। নৌকা করে ঘুরে আসতে পারেন নলবন এবং মোহনা থেকে। গোপালপুরে সামুদ্রিক মাছের সম্ভার তাই মাছ গুলি চেখে দেখতে ভুলবেন না। এসব কিছুই আপনার মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
অনেকেই পুরীতে এসে এক বা দুটো দিন কাটায়। চাইলে আপনিও তেমনটা করতে পারেন। গাড়ি ভাড়া করে পুরী ও তার আসেপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখতে পারবেন।
খরচ – মধুচন্দ্রিমায় গেলে এই ভ্রমণে একটু বেশি খরচ হবে। জনপ্রতি ৫০০০-৭০০০ টাকা ধরে রাখুন। একা কিংবা বন্ধুদের সাথে গেলে সেই খরচ কিছুটা কমতে পারে।