আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন পুরুলিয়ার এই সুন্দর জায়গা থেকে

মানুষের হাতে এখন সময় খুব কম আছে। যে কারণে সিনেমা থেকে ইউটিউবে শর্টস দেখতে বেশি আগ্রহী সকলে। ঠিক তেমনই ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে যাবে ভাবলেও সময়ের অভাবে অনেকদিনের কোনো ট্যুরে নিজেকে জড়াতে চান না। তবে জানেন কি দিন দুয়েকের ছুটি পেলেই কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়া থেকে। সবুজ চারপাশ ও নির্জনতার মধ্যে মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমন সব পর্যটনস্থল যার নাম ‘দুয়ারসিনি’।
বাংলা ও ঝাড়খন্ড বর্ডারে অবস্থিত পুরুলিয়া জেলার এই গ্রাম আপনার কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যে শান্তি এনে দিতে বাধ্য। হাওড়া থেকে ঘাটশিলা লোকাল কিংবা হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী, ইস্পাত এক্সপ্রেস কিংবা লালমাটি এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেনে যেতে হবে ঘাটশিলা। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘দুয়ারসিনি’ পৌঁছে যাবেন। সড়কপথে গাড়ি কিংবা বাস করেও আপনি যেতে পারবেন দুয়ারসিনি।
ছোট রিসর্ট ও কয়েকটি কটেজ পাবেন থাকার জন্য। চারপাশে সম্পূর্ণ আদিবাসী গ্রাম যা ঘুরে দেখতে পারেন। বন্য শূকর, ভল্লুক, হরিণ, হাতির মতো একাধিক প্রাণী ভাগ্য ভালো থাকলে চোখের সামনে দেখতে পাবেন। ঝাড়গ্রাম থেকে দুমলা রেঞ্জ পর্যন্ত হাতি চলাচলের জন্য হাতিবাড়ি এলাকায় ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ আছে।
সেখানকার মানুষের আক্তিয়তা দেখার মতো। ৩ কিমি দূরেই ভাল পাহাড়ে আপনি ট্রেকিং করে উঠতে পারবেন। সবুজে মোড়া এই পাহাড় সকালে দেখলে মনে হবে যেন মেঘের মধ্যে থেকেই এর জন্ম হয়েছে। একরাত দুয়ারসিনি কাটিয়ে পরের দিন চলে যান ঘাটশিলা ঘুরতে। সেখানে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘গৌরীকুঞ্জ’, পঞ্চপাণ্ডব টিলা, বুরুডি লেক, ধারাগিরি ফল্স এসব কিছু দেখতে পারবেন। দুদিন সেখানে ঘুরতে মাথাপিছু খরচ হবে ২০০০-২৫০০ টাকা। তাই সপ্তাহন্তের ছুটিতে মনের মানুষের সাথে দুয়ারসিনি ঘুরে আসতেই পারবেন।