Offbeat

বাড়িতেই করতে পারেন এই চাষ, লাখ লাখ টাকা আসবে দু-হাত ভরে, রইলো দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চাকরির যা অবস্থা তাতে বেশিরভাগ মানুষই ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু আদতে কি ব্যবসা করবেন সেই নিয়েও থাকে চিন্তা। কেননা এখন ব্যবসার বাজারেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে, আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের এমন একটি ব্যবসার কথা বলবো যাতে কিনা কম বিনিয়োগে এমনকি কম সময়ের মধ্যে অনেক বেশি উপার্জন করতে পারেন।

এখনকার মানুষজন বেশ উন্নত। আর তাইতো তারা শাকসবজি, মাছ, মাংসের বাইরে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। আর তাদের মধ্যেই একটি হল মাশরুম। বহু রেস্টুরেন্টে চড়া দামে এই মাশরুমের ডিশ বিক্রি হয়ে থাকে। আর এই মাশরুম চাষ করেই আপনি লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারেন। মূলত মাশরুমের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। কৃষকরা শাকসবজির পাশাপাশি এই ব্যাবসা করে দ্বিগুন মুনাফা আয় করেন।

আপনিও যদি এই মাশরুম চাষ করতে চান তাহলে বলবো আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়টি

কখন চাষ করবেন

মোটামুটি সারাবছরই মাশরুম চাষ করা যায়। কিন্ত শীতের মরসুম মাশরুম চাষের পক্ষে খুবই ভালো। কেননা এইসময়ই মাসরুম খাওয়ার উপযুক্ত সময়।

কত টাকা বিনিয়োগ করে কত উপার্জন করতে পারবেন

উত্তরপ্রদেশের এক কৃষক জানিয়েছেন যে, তিনি ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে ৩-৩.৫ লাখ টাকা উপার্জন করেছে। আপনি চাইলে ৫০ হাজার টাকার কমেও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কতটা জায়গা প্রয়োজন

প্রতি বর্গমিটারে ১০ কিলোগ্রাম মাশরুম উৎপাদন করা যায়। ৪০×৩০ ফুট জায়গায় তিন ফুট চওড়া তিনটি সারি তৈরি করে এই মাশরুম চাষ করা যায়।

কিভাবে মাশরুম চাষ করবেন

১.কম্পোস্ট তৈরির জন্য প্রথমেই ধানের খোসা ভিজিয়ে ডিএপি, ইউরিয়া, পটাশ, গমের ভুসি, কার্বোফুরান ও জিপসাম দিয়ে দিতে হবে।

২.এরপর এই মিশ্রণটিকে এভাবে দেড় মাস রেখে দিতে হবে। তারপর দেখবেন কম্পোস্ট তৈরি হয়ে গেছে।

৩.এরপর গোবর ও মাটির সমপরিমান মিশ্রন মিশিয়ে প্রায় দেড় ইঞ্চি পুরু একটি স্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

৪.তারপর এর উপরে কপোস্টের দুই থেকে তিন ইঞ্চি পুরু স্তর যোগ করতে হবে।

৫.পাশাপাশি নিয়ম করে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার জল স্প্রে করতে হবে।

৬.সবশেষে কপোস্টের একটি দুই ইঞ্চি স্তর জমলে মাশরুম উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া যায়।

তবে, এছাড়াও বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাশরুম চাষ সম্পর্কে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও মাশরুম চাষে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। তাহলে আর চিন্তা কিসের এভাবেই একটু একটু করে মাশরুম ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর অল্প সময়ের মধ্যেই অনেকটা উপার্জন করতে পারেন।