
পৃথিবীতে এমন প্রচুর জিনিস আছে যা দেখলে চমকে যাওয়ার উপক্রম হয়। সাধারণত সেই জিনিসগুলি আমরা নিজের চোখে দেখতে পাই না। ঠিক তেমনই একটি জিনিস হলো সিঙ্কহোল (Sinkhole)। খুব সহজ ভাষায় বললে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি বৃহৎ এক গর্ত। বাড়িতে কিংবা অন্য জায়গায় নিশ্চয়ই আপনারা গর্ত দেখেছেন। কিন্তু এই গর্ত সব থেকে আলাদা। এমনি কি বিশ্বের মানুষ কার্যত দূরদুরন্ত থেকে আসেন একটি গর্ত দেখতে।
তবে সিঙ্কহোল কি ও কিভাবে তৈরী হয় সেটা জানা খুবই দরকারি। বছরের পর বছর বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে জলের প্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে ছোট পাথরগুলো সরে যেতে শুরু করে। বেডরক গুলো সরে যেতে যেতে মাটির তলদেশে এক সময় বিশাল আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি কিন্তু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। তবে কোনো কোনসময় তীব্র ভূমিকম্প হবার ফলেও সিঙ্কহোল তৈরী হয়েছে। আর ইদানিং মনুষ্য তৈরী সিঙ্কহোল খুঁজে পাওয়া গেছে।
পৃথিবীর সবথেকে বড়ো সিঙ্কহোল কোথায় আছে জানেন? আপনার প্রতিবেশী দেশেই কিন্তু আছে। চীন (China) দেশের ‘Xiaozhai Tiankeng‘ নামের এই সিঙ্কহোল কার্যত সবথেকে গভীর। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার এই সিঙ্কহোল আবিষ্কার করা হয়। চীনের চংকিং পৌরসভার হস্তক্ষেপে ফেংজি কাউন্টিতে এই বিশাল গর্ত আছে। ৬৬২ মিটার গভীর ও ৫৩৭ মিটার বিস্তৃত এই গর্ত দেখলে আপনার অবশ্যই ভয় লাগবে।
এই গর্তের একদম ভিতরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না। তবে এর চারপাশের দৃশ্য দেখলে আপনি আর ফিরতে চাইবেন না সেখান থেকে। দুর্দান্ত সুন্দর এই জায়গায় সবুজ গাছপালা থেকে নদী সবকিছুই আছে। সাথেই ডিফেং গুহাও আছে সেখানে। পর্যটকরা এই বিশেষ সিঙ্কহোল দেখার জন্য ভিড় জমান সেখানে। ক্রোয়েসিয়া (Croatia) দেশে আবার ঠিক একই রকম লাল হ্রদ সিঙ্কহোল দেখা যায়।