সব সময় ফোনে ডুবে আছে সন্তান? মোবাইলের নেশা ছাড়াতে অবশ্যই করুন এই কাজ

আপনার সন্তান চোখের সামনে মোবাইলে কার্টুন না চললে খেতে পারে না। আবার আপনার শিশুকে ঘুমের আগে ইউটিউবের মাধ্যমে ‘ঠাকুমার ঝুলি’ শুনতেই হবে। যুগের সাথে সাথেই বর্তমানে এই ধরণের অভ্যাসের কথা আমরা হামেশাই শুনে থাকি। তবে আদতে হিতে বিপরীত হয়ে চলেছে তা বলার দরকার নেই। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে বাচ্চাদের বড় করার ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের যেমন নানা সুবিধা হয়েছে, পাশাপাশি তৈরি হয়েছে অনেক অসুবিধাও। ডিজিটাল হবার যুগে সেই ছোট ক্ষুদে গুলিও কার্যত সবার সাথে এই রেসে যুক্ত হয়েছে।
বর্তমানে বাচ্চারা সারাদিনে অনেকটা সময় ফোন দেখার মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছে। তাই অবশ্যই সেটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব দরকার। এই সময়ে কড়া শাসন নয় বরং দরকার একজন সহজ সরল বন্ধুত্বের। তাই মা বাবা হোক কিংবা বন্ধুরা এই সময়ে কি করা উচিত তা অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকারি –
1.ইতিবাচক হওয়া প্রয়োজন: মা-বাবা হলে সর্বদা ইতিবাচক থাকা দরকার। কারণ শিশুরা কিন্তু তাদের মা বাবাকে অনুকরণ করে। তাই ইতিবাচক মনোভাব রাখা খুবই দরকার। এর মধ্যে অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা, দয়া এবং সহানুভূতি দেখানোর পাশাপাশি অন্যদের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার কথা সে ভাবতে হবে।
২) নিজেদের যত্ন নেওয়া : সময়ের সাথে সাথে নিজেদের যত্ন নিতে শিখুন। পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এগুলি করলে আপনার সন্তান ও সময়ের সাথে সাথে সেগুলি শিখে যাবে।
৩) বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ গোড়ে তোলা : খারাপ আচরণের জন্য আপনার সন্তানকে শাস্তি দেবেন না। বরং সন্তান ভুল করলে আপনি ধীরে সুস্থে বোঝানোর চেষ্টা করুন। ফলে বাড়িতে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হবে। তার পরিবর্তে, ভাল আচরণের জন্য তার প্রশংসা করুন।
৪) নতুন কিছু সেখান : শিশুরা স্বভাবতই কৌতূহলী এবং শিখতে ভালবাসে। তাই আপনার সন্তানকে নতুন কিছু শেখার জন্য উৎসাহিত করুন। অন্বেষণ ও আবিষ্কারের সুযোগ দিন। তাতে তাদের শেখার ইচ্ছা অনেক বেড়ে যায়। এমন কী কিছু বিষয়ের উপর হয়তো আজীবন ভালবাসার জন্ম দিতে পারে।
৫) আলোচনা করার অভ্যাস করুন : যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে কথোপকথন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় নিজেদের কথা বলার পরিবর্তে, সন্তান কী বলছে, তা শুনুন। হতে পারে তা আপনাদের চলতেই থাকে।
৬) বাড়ির সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা: বাচ্ছার বড় হবার জন্য সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ থাকা খুব প্রয়োজন। তা শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে। তাঁদের আগামী জীবন কী রকম হবে, তা অনেকটা নির্ভর করে বাড়ির পরিবেশের উপর।
বিঃদ্রঃ – এই সব কয়টি পয়েন্ট যদি মানতে পারেন তাহলে আপনার শিশুর ফোন থেকে অনেকটা মন অন্যদিকে দিতে পারবেন।