Offbeat

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গা থেকে

Advertisement
Advertisements

পাহাড়, সমুদ্র, ঝর্ণা ও সবুজ প্রকৃতি কেউ ভালোবাসেন না এমনটা হতে পারেন না। তবে সময়ের সাথে সাথে ঘুরতে যাওয়ার জায়গার বদল হয়। এখন সবাই সিকিম রাজ্যের উপর বেশি প্রভাবিত হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ সিকিমের টসমগো হ্রদ যেন এক অপরূপ সৃষ্টি। গ্যাংটকের থেকে মাত্র ৩৮ কিমি দূরে অবস্থিত এই হ্রদ দেখতে আসে দূরদুরন্ত থেকে। তাই চলুন আপনাদেরও আজ একটু প্রতিবেদনের মাধ্যমে সিকিমের এই বিশেষ টসমগো হ্রদ সম্পর্কে জানানো যাক।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গা থেকে

বলার অপেক্ষা রাখে না সিকিমের সৌন্দর্য সম্পর্কে। শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে নেমে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। সেখান থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে চলে যাবেন গ্যাংটক। প্রথম দিন গিয়েই হয়তো এই হ্রদ দেখতে পাবেন না। আপনাদের জানিয়ে রাখি টসমগো থেকেও বেশিরভাগ মানুষ এই হ্রদ ছাঙ্গু লেক নামেই বেশি চেনেন।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গা থেকে

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এ হ্রদের উচ্চতা ১২,৭০০ ফুট। অনেকটা গোল আকৃতির এ হ্রদের চার পাশেই পাহাড় দিয়ে সম্পূর্ণ জায়গাটি ঘেরা। প্রচন্ড শীতে সর্বদা মাইনাসে তাপমাত্রা থাকে। তাই কোনো জায়গায় পা রাখলেই বরফের মধ্যে ঢুকে যায়। হ্রদের পারে অনেক ইয়াক আছে যা গরুর মতো দেখতে। সেগুলিতে চেপে চড়তে ও ফটো তুলতে পারবেন। এখানেই এই লেকের সৌন্দর্য শেষ হয় না।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গা থেকে

এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু রোপওয়ে যা ১৪,৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। লেকের এপার ওপার যাওয়া যায়। রোপওয়ে থেকে একসাথে কাঞ্চনজঙ্গা, ভারত-চীন সীমান্ত, ভুটান, দার্জিলিংয়ের দেখা পাবেন আপনারা। কার্যত এমন প্রকৃতির সৃষ্টি প্রথমবার দেখলে হয়তো বিশ্বাস করাও কঠিন হয়ে উঠবে। ধীরে ধীরে আপনি আবার নিচে নেমে আসবেন। পথ খাড়া তাই নামতে বেশ খানিক সময় লাগবেই। গ্যাংটক থেকে ফিরে আসলেও কোনোভাবেই আপনার মাথা থেকে টসমগো হ্রদ বা ছাঙ্গু লেকের স্মৃতি যেতে পারবেন না বহুদিন।

আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গা থেকে