
এই তীব্র গরমে পাহাড়ে ঘুরতে যেতেই হবে। যদি ঘুরতে না যান তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ভ্রমণ পিপাসু নন। পাহাড় মানেই মানুষের মনে যেন খুশির একটা আভা তৈরী হয়। আর কতদিন এভাবেই কাজ আর কাজ নিয়ে বাড়িতে বসে থাকা যায়। কাছেপিঠে কোন নিরিবিলি পার্বত্য এলাকায় ঢুঁ মেরে আসুন। ভাবছেন নাকি তেমনই কিছু? সেই তাঁদেরই জন্য অপেক্ষা শেষের সেরা ঠিকানা হতে পারে সৌন্দর্য্যের খনি তিনচুলে (Tinchuley)। আজ আপনাদের দার্জিলিংয়ের এই বিশেষ জায়গা সম্পর্কে জানানো হলো।
গন্তব্যে কিভাবে পৌঁছাবেন – হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি পৌঁছে যাবেন। সেখান থেকে গাড়িতে সোজা পৌঁছে যাবেন তিনচুলে। শেয়ার করা গাড়ি নিলে ভাড়া বেশ কিছুটা কম হবে। শিলিগুড়ি থেকে তিনচুলের দূরত্ব মাত্র ৭৩ কিমি। অন্যদিকে সবথেকে কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেও যেতে পারবেন। সময় বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
তিনচুলের অবস্থান – সমুদ্রতল থেকে প্রায় ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত তিনচুলে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত এই পার্বত্য এলাকা তাকদাহ থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
কখন যাবেন সেখানে – অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে এই জায়গায় যেতে পারেন। তবে বর্ষাকালে ভুলেও পাহাড়ি জায়গায় যাবেন না।
কি কি দেখবেন – কমলা অর্কিডের বন আছে যা তিনচুলের বিশেষ আকর্ষণ। ১৭ বছর ধরে ধ্যানমগ্ন এক লামা ও গল্পে ভরা মনেস্ট্রি দেখতে পারবেন। একই জায়গায় ছয়টি চা বাগান এলাকার সৌন্দর্য্যের মুকুটে অতিরিক্ত পালক যোগ করেছে। হোটেলের রুম থেকে সকাল সন্ধে দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। গুমবাদারা ও লাভার্স ভিউ পয়েন্ট থেকে পাহাড়, নদী, বন ও মেঘ সব একসাথে মিশে যাবে। পায়ে পায়ে হেঁটে তাকদাহ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন – খুবই স্বল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা আছে সেখানে। তবে শহরের মতো বড়ো বড়ো হোটেল কিন্তু দেখতে পারবেন না। রিসর্ট ও হোম স্টেতে রাত কাটানোর জন্য একমাত্র ভরসা। ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে থাকা ও খাওয়া হয়ে যাবে আপনাদের।