আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী, ছুটি নিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই দুর্দান্ত জায়গা থেকে

কাজ ও সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে প্রকৃতির কোলে কয়েকটা দিন কাটাতে চান সকল মানুষ। তবে জানেন কি এখন সময়ের অভাবে ঘুরতে যাওয়াও কার্যত খুবই কমে গেছে। ভ্রমণ পিপাসুরা অবশ্য সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পরেন। আপনাদের জন্যই তো আজ দার্জিলিংয়ের ছোট্ট একটি পাহাড়ি গ্রামের হদিশ নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিবেদনে। চারিদিকে ছবির ন্যায় সবুজ চা গাছের বাগানে ঘেরা ও মেঘে ঢাকা এই গ্রামের নাম তাকদাহ (Takdah)।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে শিলিগুড়ি বা এনজপি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছাতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৬০কিমি, এনজেপি থেকে প্রায় ৬৫ কিমি ও দার্জিলিং থেকে প্রায় ২৭ কিমি দূরত্বে অবস্থিত তাকদাহ। ব্রিটিশদের তৈরি সেই পুরনো বাংলোগুলি আপনি পাবেন থাকার জন্য। এছাড়াও কিছু রিসর্ট আছে। দার্জিলিং এর কিছু অন্যতম সুন্দর চা বাগান গুলি দেখতে পাবেন এই গ্রামে পাশেই।
তাকদা অর্কিড সেন্টারটি, তাকদা থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানে রংবাহারি দুর্লভ অর্কিডের সমাহার যা দেখতে মন্দ লাগবেনা আপনার। তারপর সেখান থেকে পুরোনো দিনে কাঠের তৈরী তাকদা হাঙ্গিং ব্রিজ দেখতে চলে যাবেন। যদিও ব্রিটিশদের তৈরী এই ব্রিজটি এখন সাধারণ মানুষদের জন্য বন্ধ আছে। শুধুমাত্র আপনি নিজের চোখেই এমন সুন্দর শিল্প চাক্ষুস করতে পারবেন।
তাকদাতে এককালিন ব্রিটিশদের সেনানিবাস ও বসবাস থাকায় এখানে ব্রিটিশদের তৈরি বাংলো ও বিভিন্ন স্থাপত্য আজও আছে যা পর্যটকদের অন্যতম ঘোরার জায়গা। রংলি রাংলিওত চা বাগান, তিস্তা ভ্যালী চা বাগান, গিল্লে চা বাগান, নাম্রিং চা বাগান এগুলি এখানকার অন্যতম উল্লেখযোগ্য চা বাগান। সাথেই পাইনের জঙ্গলে ঘেরা লামহাটা ইকো পার্ক, তিস্তা ও রঙ্গিত নদির মিলন স্থল ত্রিবেনি এসব জায়গা গুলি ঘুরে দেখতে আপনার খারাপ লাগবে না।