ভুলে যাবেন দীঘা-পুরীর সৌন্দর্য! ৩-৪ হাজার টাকায় ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে, পড়ে যাবেন প্রেমে

দুদিনের ছুটিতে যাবেন নাকি ঘুরতে? এই প্রবল গরমে ঠান্ডা স্থানে যাওয়ার ইচ্ছা তো আছে নিশ্চয়ই। তবে হাতে বেশি সময় নেই। কিন্তু কোথায় যাবেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই তো ইচ্ছা এক্কেবারে চলে যায়। যাবেন নাকি পাহাড় ও সবুজ প্রকৃতিতে মিলেমিশে তৈরী কোনো স্থানে। তেমনই আমাদের রাজ্যেই তৈরী একটা প্রকৃতির কোলের জায়গা হলো ‘সামসিং’। আজ সেখানেই কার্যত আপনাদের সকলকে নিয়ে যাবো আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
সামসিং -র অবস্থান – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার ছোট একটি গ্রাম সামসিং। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রাম।
কিভাবে যাবেন – কলকাতা থেকে সামসিং-এর দূরত্ব মোটামুটি ৬৩৮ কিমি। হাওড়া বা শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে যেতে হবে জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি কিংবা বাস ভাড়া নিয়ে যাবেন মাল জংশন স্টেশনে। সেখান থেকে মিত্তাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি সারাদিনে দুটি বাস সামসিং যায়। আবার আপনারা সরাসরি গাড়ি করেও সামসিং যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন – রিসর্ট থেকে গেস্ট হাউস সব কিছু আছে। বাঙালি খাবারের সম্ভার পাবেন সেখান থেকেই আপনি থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।
কি কি দেখবেন – শান্ত নিশ্চুপ এই পরিবেশ দেখতে আপনার মন ভরে উঠবে। পাহাড়ি নদী ও ঝর্ণা সম্পূর্ণ গ্রামটিকে ঢেকে রেখেছে। বাংলা ও ভুটানের সীমান্তে সামসিং হবার কারণে অনেকেই সেখান থেকে ভুটান ঘুরতে যান।
গ্রামের মানুষেরা বেশিরভাগ যুক্ত কমলালেবু চাষের সাথে। গ্রামের কিছু দূর থেকেই মূর্তি নদী প্রবাহিত হয়েছে। রাতের বেলা সেই প্রবাহের কোলাহল আপনাকে গ্রাস করবে। নদীতে রিভার রাফটিং করতে পারবেন। শাল, শিমুলের মতো বিশাল বড়ো গাছের বনের মধ্যে ঢুকলে হারিয়ে যাবেন। প্রচুর চা বাগান ও আছে তাই সেখানের চা অবশ্যই চেখে দেখতে পারবেন। ট্রেক করে নেওরাভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক অবশ্যই ঘুরতে যাবেন।
মাথা পিছু খরচ – সামসিং ঘুরতে খরচ হবে ৩০০০-৫০০০ মতো। তবে খরচ আপনার উপর নির্ভর করবে। দামি হোটেল বা রিসর্ট থাকলে বেশি খরচ হবেই।