অনেক হল একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ভ্যাপসা গরমে স্বর্গ সুখ পেতে ঘুরে আসুন দুর্দান্ত এই জায়গা থেকে

শীতের সময়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বছরের শুরু থেকেই প্ল্যান করেন। আপনিও নিশ্চয়ই সেই ধরণের মানুষের তালিকাতেই আছেন। বিশেষ করে পাহাড়, ঝর্ণা ও সবুজ প্রকৃতি এই তিন জিনিষকে একসাথে পেলে আর মনে হয় না কিছুর দরকার হয়। চিরাচরিত দার্জিলিং ছেড়ে এবার সময় এসেছে অন্য রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার। বেশি দূরে নয় আপনার পাশের রাজ্যেই আছে এমন একটি দুর্দান্ত অফবিট জায়গা। তাহলে চলুন আজ এই ছবির মতো সেই স্থান থেকে আপনাদের বাড়ি বসে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।
অবস্থান – ওড়িষ্যা রাজ্যের নারায়ণগড় জেলায় অবস্থিত রাজাগিরি জলপ্রপাত। পুরী থেকে সেই স্থানের দূরত্ব ১১৩ কিলোমিটার। ভুবনেশ্বর থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজগিরি।
কিভাবে যাবেন – প্রথমে ট্রেনে আপনাকে নয়াগড় স্টেশনে নামতে হবে। রাজাগিরির সবথেকে থাকে আছে এই স্টেশন। সেখান থেকেই বাকি ১৩ কিমি পথ আপনাকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে। বাসের ক্ষেত্রেও শেষ পর্যন্ত যেতে হবে নয়াগড়। বিমানে গেলে ভুবনেশ্বর নেমে ৮৩ কিমি পথ যেতে হবে গাড়িতে।
থাকার ব্যবস্থা – বেশ কিছু হোটেল ও রিসর্ট আছে। আপনি চাইলে সেখানেই থাকতে পারবেন। তবে এই রাজাগিরি বেশিরভাগ মানুষ যান একদিনের জন্য। তাই সেখানে না থেকে আপনি অন্য জায়গায় থাকতে পারেন শহরের কাছাকাছি।
কি কি দেখবেন – রাজাগিরি জলপ্রপাত সম্পূর্ণ সবুজ জঙ্গল দ্বারা বেষ্ঠিত। পাহাড়ে ৩ কিলোমিটার ওঠার পরে অবশ্য এই জলপ্রপাতটি দেখতে পারবেন। সেই জল পাহাড়ের গাঁ বেয়ে নিচে নেমে এসেছে যা আপনি অনায়েসেই সেখানে স্নান করতে পারেন।
পাহাড়ের উপরে অনেক মানুষ আসেন পিকনিক করতে। তাই এই জায়গাটি মূলত পিকনিক স্পট নামেই বিখ্যাত।
সবুজ গাছপালার পাশাপাশি বেশ কিছু বিশেষ জায়গা রয়েছে সেখানে ঘুরে দেখার। গুপ্তেসর কুন্ডা, হনুমান মন্দির, পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির, হনুমান পাদা এই স্থান গুলিও ঘুরে দেখতে পারেন। আরও প্রচুর জায়গা আছে যেখান থেকে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন।
খরচ – পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেখানে পিকনিক করতে গেলে খুব বেশি খরচ হবে না। তবে সেখানে দুটো দিন কাটালে সেক্ষেত্রে ৪০০০-৫০০০ মতো খরচ হবেই।