
এই গরমে হিল স্টেশনে ঘুরতে না গেলে প্রাণ অষ্টগত হয়ে গেছে। শীতল মনোরম পরিবেশে আচ্ছাদিত হিল স্টেশনের মূল আকর্ষণ হল পাহাড় এবং পাইনের ঘন অরণ্য। তবে এই গরমে কোথায় যাওয়া যায় বলুন তো? যাবেন নাকি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার ছোট্ট পাহাড়ি শহর ‘মিরিক’ (Mirik)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭৬৮ মিটার (1768 Miter) উচ্চতায় অবস্থিত এই সবুজ শহর সারাবছর ঠান্ডা থাকে। তাহলে চলুন এই প্রতিবেদনে কলমে কলমে আপনাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসা যাক সেই জায়গায়।
কিভাবে যাবেন – শিয়ালদহ বা হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে চলে যান নিউ জলপাইগুড়ি। এরপর স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে মিরিক। জলপাইগুড়ি থেকে মিরিকের দূরত্ব মাত্র ৫৭ কিমি যা পৌঁছাতে মোট তিন ঘন্টা মতো সময় লাগবে। আবার বিমানে বাগডোগরা (Bagdogra) হয়েও মিরিক যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন – মিরিকে বড়ো বড়ো হোটেল তৈরী হয়েছে। কিন্তু আপনি চাইলে লজ বা রিসোর্টে থাকতে পারবেন।
কি কি দেখবেন – বর্ষাকাল বাদ দিয়ে বছরের অন্য যেকোনো সময় আপনি সেখানে যেতে পারেন। পৌঁছেই দেখবেন অর্কিড ফুলের বাগান আপনাকে সেখানে স্বাগত জানাতে তৈরী। মিরিকের প্রধান আকর্ষণ সুমেন্দু লেক। এই লেকটির উপর একটি ৮০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো রয়েছে। সেই লেকে আপনি নৌকা চালাতে পারবেন।
সকাল হলে হোটেলের জানলা দিয়ে দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পারবেন। সূর্যের আলো চূড়ার উপর এসে পড়লে যেন সোনায় মোড়া পাহাড় মনে হয়। মিরিকের পাশেই ‘বুঙ্কুলুং’ চাষ ক্ষেত্রে ঘুরে দেখতে খারাপ লাগবে না। উচ্চমানের কমলালেবু সম্পূর্ণ মিরিক জুড়ে চাষ হয় তাই ঘুরে দেখতে পারেন।
বোকার মনেস্ট্রি, মিরিক চা বাগান ও সবশেষে মিরিক ভিউ পয়েন্ট দেখতেই হবে। নেপাল সীমান্তবর্তী একটি বড়ো বাণিজ্যিক কেন্দ্র পশুপতি নগর দেখতে পারেন। সেখানে খুব কম টাকায় করতে পারবেন শপিং। একদিন বেশি হাতে সময় থাকলে আপনি দার্জিলিং ঘুরেও নিতে পারেন।
মাথা পিছু খরচ – মিরিক ঘুরতে ৫ দিনে আপনার ৭০০০ টাকা মতো খরচ হবে। প্রতিদিন থাকা ও খাওয়া মাথাপিছু ১৫০০ টাকা খরচ হতে পারে।