আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী-ডুয়ার্স! প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে আসুন অসাধারণ এই জায়গা থেকে

প্রকৃতিকে নিজের চোখে না দেখলে আর কিছুই যেন ভালোলাগে না। একদিকে যেমন দাবোদাহ গরম ঠিক তেমনই কার্যত বরফে আচ্ছন্ন কোনো স্থান এমনই বিচিত্র প্রকৃতি নিয়েই তৈরী হয়েছে আমাদের পৃথিবী। গরমের সময়ে এক চিলতে শান্তি খুঁজতে কার্যত ঠান্ডা জায়গাতেই পাড়ি দিতে চান সকলে। এই দেখুন কথার মাঝে প্রতিবেদনের আসল বিষয়বস্তু থেকেই সরে এসেছি। আজ কিন্তু আপনাদের বলবো দার্জিলিংয়ের কাছে অবস্থিত এক অদ্ভুত সুন্দর গ্রাম ‘কোলাখাম’ সম্পর্কে।
শিয়ালদাহ থেকে ট্রেনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে নিউ মাল জংশনে পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে লাভা চলে যাবেন। আর সেখান থেকেই মাত্র ৮ কিমি দূরত্বের পথ কোলাখাম পৌঁছে যাবেন কিছু সময়ের মধ্যেই। নির্দিষ্ট ট্রেন বলে দেওয়ার কারণই হলো যাতে যাওয়ার পথ সহজ হয়। কলকাতা থেকে প্লেনে বাগডোগরা নেমেও কোলাখাম যাওয়া যায়। বিমানবন্দর থেকেও গাড়ি ভাড়া করে চলে যাবেন লাভা। সেখানে থাকবার জন্য ৮-১০ টা হোম স্টে আছে। ভাড়া ও প্রতিদিন মাথাপিছু থাকা-খাওয়া মিলিয়ে ১৫০০-২০০০ টাকা খরচ পড়বে।
মাত্র ৬০টি ঘর নেপালি ‘রাই’ সম্প্রদায়ের মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে এখানে। নেওড়া ভ্যালি ফরেস্টের ঠিক গা ঘেঁষে কয়েকটি রিসর্ট গড়ে উঠেছে। নেওড়া ভ্যালি ফরেস্ট ঢুকতে পারবেন না বন দফতরের বিশদ বারণ আছে। রাতের বেলা ছাঙ্গে ফলস এবং চেল নদীর প্রবাহের আওয়াজ কানে হালকা সুরের মতো ভেসে আসবে। এই গ্রাম থেকে সকাল হলেই খুব পরিষ্কার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় যদিও তার জন্য আকাশ পরিষ্কার থাকতে হবে।
কোলাখাম থেকে নেওড়া ভ্যালি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে একটি সুন্দর রাস্তা চলে গেছে লাভার দিকে। সেখানে বিভিন্ন পাখি যেমন ডার্ক সাইডেড ফ্লাই ক্যাচার, রুফাস সিবিয়া, গ্রিন-ব্যাকড টিট ইত্যাদি দেখতে পাবেন। সন্ধের পরে কোলাখাম থেকে আলোয় ভরা রিশপ শহর উপভোগ করতে পারবেন। সেখানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আপনার কেটে যাবে অজান্তেই। শেষ দিন ৩০০ ফুট উঁচু ছাঙ্গে ঝর্ণা দেখতে ভুলবেন না যেন। ব্যস্ত জীবন থেকে দূরে, চুপচাপ নির্জনে প্রকৃতির রূপের সুধা দেখতে হলে কোলাখাম এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।