আর নয় একঘেয়ে দীঘা-পুরী-ডুয়ার্স! ছুটিতে কাছের মানুষের সাথে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে

কাঞ্চনজঙ্ঘা, দেশের সবথেকে বড়ো ও উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ। এই শৃঙ্গ জয় করেছেন এখনও পর্যন্ত প্রচুর মানুষ আছেন। প্রতি বছর এই শৃঙ্গকে একবার নিজের চোখে চাক্ষুষ করবেন বলে বহু মানুষ ভিড় জমান। কিন্তু জানেন কি শুধু কিন্তু শৃঙ্গ নয় সিকিমের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক’ দেশের অন্যতম একটি ভ্রমণ আকর্ষিত স্থান। বিস্ময় এখানে থমকে থাকে প্রতি পদে। এতটাই ঘন ঘন পরিবর্তিত হয় এই উদ্যানে প্রকৃতির রূপ যে হতবাক হয়ে যেতে হয়।
সেখানে যেতে গেলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আপনাকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে হবে সিকিম। গ্যাংটক থেকে ১১২ কিমি দূরে অবস্থিত এই ন্যাশনাল পার্ক। সিকিম ও নেপালের মাঝ বরাবর কিন্তু এই জাতীয় উদ্যানটি তৈরী করা হয়েছে। সিকিমের মধ্যে উদ্যানের ২১.১৪% ও বাকিটা নেপালের খাতায় পরে। প্রচুর রিসর্ট ও হোম স্টে আছে যা নিয়ে আপনি সম্পূর্ণ সিকিম ভ্রমণ করতে পারবেন। অবশ্যই হাতে দিন কয়েক সময় নিয়ে এই স্থানে যাবেন।
এই উদ্যানকে ঘিরে রেখেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, নরসিংহ, পাদিম, কাবুর, নেপাল, টেন্ট এরকম আরও অনেক শৈলশৃঙ্গ। শুধু তাই নয় এর মধ্যেই ১৮টি হিমপ্রবাহ ও ওক, পাইন, ফার্ন, বার্চের লম্বা সারি সারি দেওয়া গাছ। উদ্ভিদপ্রেমীদের কাছে কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক সাক্ষাৎ স্বর্গ। এখানে বিভিন্ন ওষধি আর ভেষজও গাছও পাওয়া যায়। ক্লাউডেড লেপার্ড, স্নো লেপার্ড, ওয়াইল্ড ডগ, স্লথ বিয়ার, নীল ভেড়া, কস্তূরী মৃগ, লাল পান্ডা এসব কিছুই দেখা যায় সেখানে।
বনের ভিতরে ব়্যাটল স্নেক, রাসেল ভাইপারের মতো এক ছোবলে ছবি বানিয়ে দেওয়া সাপেরও দেখা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ৪০তম অধিবেশনে একে ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্পূর্ণ সিকিম ঘুরতে আপনার মাত্র ৭০০০ টাকা মতো খরচ হবে। তবে নিজের কাছে অতিরিক্ত টাকা রাখতে ভুলবেন না কিন্তু।