অনেক হল একঘেয়ে দীঘা-পুরী! একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন কাছের এই অসাধারণ জায়গা থেকে

‘ইস্কন মায়াপুর‘ এই মন্দিরের নাম হেন মানুষ নেই শোনেননি। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান সাথেই বাসস্থান ও বটে। পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে সেখানে মানুষ সবসময় আসে। গরম থেকে শীত বলে নয় এখানে ভক্ত বৃন্দের আসার কোনো নির্দিষ্ট সময় হয় না। আপনাদের জানিয়ে রাখি সকল ধর্মের মানুষের অবাধ প্রবেশ আছে ইস্কন চন্দ্রোদয় মন্দিরে। তাই আপনারা হয়তো মনে মনে এই মায়াপুর ও নবদ্বীপ ভ্রমণ করার চিন্তা করছেন। তাহলে চলুন আজ এই পবিত্র স্থানের সকল খুঁটিনাটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরা যাক।
মায়াপুরের অবস্থান – মায়াপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলায় অবস্থিত একটি গ্রাম ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র৷ এটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান নামে খ্যাত৷ মায়াপুর ভাগীরথী নদীর পূর্বপাশে অবস্থিত।
কিভাবে যাবেন – শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর লোকাল ধরে সেখানে নেমে যান। ২ ঘন্টার থেকে কিছু বেশি সময় লাগে। অন্যদিকে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যান নবদ্বীপ ধাম। সেখানে থেকে ঘাটে পৌঁছাবেন টোটো করে। ঘাট পার হোয়ে মায়াপুর পৌঁছান। আর কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে অটো বা বাসে করে সরাসরি মায়াপুর চলাচল করে।
থাকার জায়গা – মূলত সকালে জিয়ার রাতে ফিরে আসাই হচ্ছে মায়াপুর ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য। তবে চাইলে আপনি সেখানে রাত কাটাতেও পারেন। কারণ সেখানে আছে একাধিক হোটেল। আর মায়াপুরের মধ্যেও নিজস্ব থাকার ব্যবস্থা আছে সেখানেও থাকতে পারেন।
কি কি দেখবেন –
- শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির এটি হচ্ছে মায়াপুরের প্রধান মন্দির। প্রধান মন্দিরের বাম দিকে ইস্কান এর প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য, শ্রীপতি প্রভুপদের বৈষম্যের মূর্তি।
- মায়াপুরের কাছাকাছি বামুনপুকুর গ্রামে অবস্থিত বল্লাল ঢিপি। বিস্তৃত গজ মধ্যে একটি বিস্ময়কর ইটের গঠন প্রকাশ পায়।
- কৃষ্ণগর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাগীরথী নদীর পশ্চিমে অবস্থিত এবং এটি শ্রী চৈতন্যর জন্ম স্থান নবদ্বীপ শহর। নবদ্বীপ শহরে মোট ১৮৬ টি বৈষ্ণব মন্দির রয়েছে।
- শুধু মায়াপুর বা নবদ্বীপ নয় কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি, রোমান ক্যাথলিক চার্চ ও জলঙ্গীর পশে ঘূর্ণিতে মৃৎশিল্প দেখতে ভুলবেন না।
- মায়াপুর গেলে দুপুরে ১২টার আগে ভোগ প্রসাদের কুপন সংগ্রহ করে নেবেন। আর সন্ধ্যায় ঠিক ৬ টায় শুরু হয় সন্ধ্যা আরতি। এই সন্ধ্যারতী না দেখে বাড়ি ফিরবেন না তাহলে কিন্তু খুব মিস করবেন।
খরচ – মায়াপুর ঘুরতে আপনার ৫০০ টাকার মতো খরচ হবে। তবে গাড়ি বা অন্যান্য কোনো জিনিস যুক্ত হলে সেক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধি পাবে।