ভুলে যাবেন দীঘা-পুরীর সৌন্দর্য! ভ্যাপসা গরমে স্বর্গ সুখ পেতে ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে

ভারতবর্ষে থাকেন অথচ সিকিম (Sikkim) ঘুরতে যাননি এমনটা সম্ভব নয়। সিকিম রাজ্য না ঘুরলেও গ্যাংটক (Gangtok) আপনাকে ঘুরতেই হবে। সিকিম রাজ্যটি খুব ছোট হলেও রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটকে সারাবছর ভিড় লেগে থাকে। প্ল্যান করছেন নাকি এই গরমে পরিবারের সাথে একটা জমিয়ে গ্যাংটক ট্যুর? তবে ঘুরতে যাওয়ার আগে আপনার কিন্তু বিশেষ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া উচিত।
কিভাবে গ্যাংটক যাবেন – গ্যাংটক যাওয়ার সরাসরি কোনো ট্রেন কলকাতা থেকে নেই। আপনাকে শিয়ালদাহ বা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে গ্যাংটক। ১১৪ কিলোমিটার পথ যেতে আপনাদের তিন ঘন্টা মতো সময় লাগবে। বিমানে বাগডোগরা নেমেও গাড়ি নিয়ে আপনি গ্যাংটক যেতে পারবেন।
থাকার জায়গা – দেশের এত বড়ো পর্যটন কেন্দ্র যখন এক সে এক থাকার জায়গা থাকবেই। ছোট থেকে বড়ো সব ধরণের হোটেল আছে। তবে পাহাড়ের গায়ে গজিয়ে ওঠা রিসর্ট থাকলে আসল উপভোগ করতে পারবেন এই ট্রিপ।
কি কি দেখবেন সেখানে – ১০০ ফুট উঁচু বাঁঝাকরি জলপ্রপাত বিখ্যাত একটি জায়গা। মনোরম দৃশ্য থেকে আপনার ফিরতে মন চাইবে না। সাথেই বাকথাং জলপ্রপাত দেখতে ভুলবেন না। গ্যাংটক এর অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান হলো এম.জি মার্গ বা মহাত্মা গান্ধী মার্গ। মাঝে বসার জায়গা, দুই পাশে সুসজ্জিত দোকানপাট, পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট মন জয় করে নেবে।
গ্যাংটক এর আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল ছাঙ্গুলেক। গ্যাংটক থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে ১২,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই লেক। গাড়ি ভাড়া করে সেখান থেকে অনায়েসেই ঘুরে আসতে পারেন। ইয়াকের পিঠে চড়ে ফটো তুলতে ভুলবেন না।
রুমটেক মনাস্ট্রি যেখানে বৌদ্ধদের নিয়ে তৈরী এক বিশেষ মঠ গড়ে উঠেছে। এছাড়াও নাথুলা পাস, নামনাং ভিউ পয়েন্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক, তাশি ভিউ পয়েন্ট, হনুমান চক, জুওলজিকাল গার্ডেন এই উল্লেখযোগ্য জায়গা গুলি দেখতে ভুলবেন না। গ্যাংটকের রোপওয়ে খুবই বিখ্যাত। রোপওয়ের সাহায্যে দেওরালি বাজার থেকে নামনাং স্টেশন পর্যন্ত ঘুরতে পারবেন।
খরচ – মোটামুটি প্রতিদিন ১৫০০-২০০০ টাকা খরচ করলে এখানে থাকতে পারবেন। তবে নিজের উপর সেই খরচ কমতে বা বাড়তে পারবে।