
কম খরচে পাহাড়ে ঘুরতে যেতে চান অনেক মানুষ। কাশ্মীর কিংবা হিমাচল প্রদেশ ঘুরতে যাওয়ার বাজেট বেশ খানিকটা তুলনামূলক বেশি। আবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙ ঘোরা হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আপনি চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন ‘ডুয়ার্স’ -এর উপরে। এখানকার প্রকৃতি যেন ক্যানভাসের উপর হাতে আঁকা এক পরিপাটি চিত্র। হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর এই সুন্দর জায়গাটিতে ঘুরতে যান। খরচ সীমিত তবে এডভেঞ্চারে বড়ো বড়ো পর্যটন স্থানকে হার মানাবে। তাই যদি এবার আপনার গন্তব্য হয় ডুয়ার্স যাওয়ার আগে মিনিট দুয়েক সময় নিয়ে আপনাদের জন্য তৈরী ডুয়ার্সয়ের খুঁটিনাটি তথ্য গুলি জেনে যান।
ডুয়ার্স যাওয়ার একাধিক ট্রেন আপনি পেয়ে যাবেন। হাওড়া বা শিয়ালদাহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন যেতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে সোজা চলে যাবেন ডুয়ার্স। প্লেনে যেতে চাইলে সেটাও সম্ভব ডুয়ার্সের সবথেকে কাছের বিমানবন্দর বাগডোগরা তাই আপনাকে সেখানেই যেতে হবে। রিসর্ট, হোটেল, বন দফতরের বাংলো এসব এখন খুব ভালোভাবে ডুয়ার্সে গড়ে উঠেছে।
প্রথম দিন বেশিরভাগ মানুষ সকাল সকাল পৌঁছে যান মূল আকর্ষণ জলদাপাড়া ও গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক ঘুরতে। সেখানে গাড়ি ভাড়া করে নিলে আপনি জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন সাথে সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেখাবেন নির্দিষ্ট গাইড। গন্ডার, হাতি, সম্বর ও প্রচুর পাখি এখানে দেখতে পাবেন। ভাগ্য যদি ভালো থাকে এক শৃঙ্গ গন্ডারের দেখা পেয়ে যেতেই পারেন যা এখানকার জগৎ বিখ্যাত। গরুমারা জঙ্গল রিসোর্টে পারলে একটা রাত অবশ্যই কাটাবেন প্রাণীদের মধ্যে মানুষের থাকার যে দুর্দান্ত স্মৃতি ভুলতে পারবেন না।
তারপরে একে একে ‘চাপড়ামারী’, ‘চালসা গৌরীগাঁও’, ‘বক্সা জাতীয় উদ্যান’ দেখতে ভুলবেন না যেন। যাদের জলে ভয় নেই তিস্তা নদীতে রিভার রাফটিং করতে পারেন। তার জন্য জনপ্রতি ১০০০-১২০০ টাকা খরচ হয়। জয়ন্তী, ঝালং, বিন্দু, সুলতানখোলা এসব জায়গা গুলি আপনি একটি গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষ ডুয়ার্স ঘুরতে যান তিন রাত ও চার দিনের উদ্দেশ্যে। আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছা মতো বাড়াতে পারবেন। মাথাপিছু খরচ ৫০০০-৭০০০ টাকার মধ্যে ধরে রাখতে হবে। তবে সবশেষে জানিয়ে রাখি বর্ষাকালে ভুলেও ডুয়ার্স ঘুরতে যাবেন না। এই সময় সম্পূর্ণ অভয়্যারণ্য বন্ধ থাকে।