Offbeat

একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

Advertisement
Advertisements

মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন নিশ্চয়ই ঠিক করে নিয়েছেন? কি দীঘা যাবেন! এই সময়ে দাঁড়িয়ে দীঘা কোনো মধুচন্দ্রিমার জায়গা হলো বলুন তো! অবশ্য চাইলে পুরী বা অন্য কোনো স্থানে যেতেই পারেন। অবশ্য আপনি চাইলে পুরীর পাশে নির্জন সমুদ্রের ধারে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন।

একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

যাবেন নাকি এমন একটা জায়গায় যেখানে কার্যত জনমানবহীন। শুধু আপনি ও আপনার সঙ্গী আর সাথেই থাকবে অবিরাম জলরাশি। আজকের গন্তব্য তাহলে আমাদের বালিঘাই সী বীচ। ভাবছেন সেটা আবার কোন রাজ্যে। চিন্তা নেই আসুন আজ আপনাদের এই দুর্দান্ত জায়গাটির সম্পর্কে জানাবো যা এর আগে কোনোদিন হয়তো দেখেননি।

একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

কিভাবে যাবেন – পুরী থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বালিঘাই। হাওড়া থেকে পুরী স্পেশাল যে কোনো ট্রেনে নেমে পরুন পুরী স্টেশনে। বাঙালির চিরচেনা পুরী ওড়িশাতে থাকলেও, পুরীর ভিড় ও হই-হট্টগোল কিছুই নেই সেখানে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে চলে যাবেন বালিঘাই।

একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

কোথায় থাকবেন – আপনার সবথেকে ভালো হয় পুরীতে থাকতে পারলে। কারণ বেশি দূর নয় আপনার গন্তব্য তাই সেখান থেকেই যাতায়াত করতে পারবেন। পুরীতে থাকলে হোটেল আগে থেকে বুক করে রাখাই ভালো হবে। এখানে পৌঁছেও বেছে নিতে পারেন পছন্দের থাকার জায়গা।

একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

কি কি দেখবেন – বিয়ের পরে বলা হয় আগে কোনো ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার জন্য। তাই পুরী জগন্নাথ দেবের মন্দিরে মাথা ঠেকিয়ে পুজো দিয়ে নেবেন। তারপরে নাহয় দুজনের রোমান্স ও ঘোরার সময় বের করবেন।বালির লম্বা এক রাস্তা সেটাই সরাসরি চলে গেছে বিচের দিকে। কোনো মানুষ নেই তাই দুজনে বেশ রোমান্টিক স্নান করতেই পারেন। আসলে সেখানে এখনও কোনো হোটেল বা জনবসতি গড়ে ওঠেনি।

একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

বিচে যাওয়ার রাস্তাতেই আসবে আলরনাথ মন্দির। খুব জাগ্রত এই মন্দিরে মাথা ঠেকাতে ভুলবেন না। এখান থেকেই গা়ড়ি করে ঘুরে নিতে পারবেন দারিংবাড়ি। বালিঘাই বীচে যদি সকাল ও সন্ধের সময় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পারেন তাহলে যেন এ জীবন আপনার স্বার্থক হয়ে যাবে। নির্মল ঝোরা, তারাতারিণী মন্দির পরিদর্শন করে পুজো দিয়ে আসতে পারেন। রম্ভা, চিল্কা হ্রদ, বারাকুল, কোনারকের মন্দির এসব জায়গা ঘুরতে পারবেন।

একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

খরচ – এই জায়গাটি সম্পূর্ণ জনবসতি হীন। তাই এই ভ্রমণ হবে পুরীকে কেন্দ্র করে। মধুচন্দ্রিমায় গেলে এই ভ্রমণে একটু বেশি খরচ হবে। জনপ্রতি ৫০০০-৭০০০ টাকা ধরে রাখুন। একা কিংবা বন্ধুদের সাথে গেলে সেই খরচ কিছু অংশে কমবে।