
তীব্র গরমে খানিক স্বস্তি আপনাকে দিতে পারে একমাত্র শীতল আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গে যা অবস্থা তাতে একমাত্র উত্তরবঙ্গ সফরেই স্বস্তি খুঁজে পাবেন। কিন্তু একঘেয়েমি জায়গায় যাওয়ার কথা বললেই বৌয়ের সাথে হবে তুমুল ঝামেলা। গরম যতই থাকুক জীবনে রোমান্টিক ও নিরিবিলি জায়গায় ঘুরতে না গেলে দাম্পত্য কলহ অনিবার্য। সেই কারণেই আপনার পাশের রাজ্য কার্যত আহ্বান করছে দুদিনের বিশেষ এই সি বিচ থেকে ছুটি কাটিয়ে আসার জন্য।
জায়গার অবস্থান- ওড়িষ্যা রাজ্যের পুরী জেলাতে কোনারকের সূর্য মন্দিরের তিন কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ‘চন্দ্রভাগা সমুদ্র সৈকত’।
কিভাবে যাবেন – পুরী থেকে চন্দ্রভাগা সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। তাই প্রথমেই আপনি পৌঁছে যাবেন পুরী। একাধিক ট্রেন আছে যা চাইলে আগে থেকে টিকিট কেটে রাখতে পারেন। পুরী স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান চন্দ্রভাগা।
থাকা ও খাওয়া – একাধিক ভালো মানের হোটেল আছে। অনলাইনের মাধ্যমেই বুকিং আগে থেকে সেরে রাখতে পারেন। আবার সেখানে গিয়েও বুকিং করতে পারবেন। তবে পিক সিজনে গেলে হোটেল পেতে খুবই কষ্ট হবে। সাথেই সেখানেই টাকা দিলে তিন বেলার খাবার পর্যাপ্ত পরিমানে পেয়ে যাবেন।
কি কি দেখবেন – আন্তর্জাতিক বালুশিল্প উত্সবের জন্য বিখ্যাত চন্দ্রভাগা। ভিড়, কোলাহল থেকে দূরে এই বিচ সম্পূর্ণ শান্ত। গরমের সময়ে লোকজন কিছুটা কম থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে নিজের প্রিয়জনের সাথে এই সৈকত হল পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।
এখানে ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে বেশ একটা এডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ হবে। সমুদ্রে অ্যাডভেঞ্চার করতে চাইলে তার ব্যবস্থাও আছে। বিভিন্ন ওয়াটার স্পোর্টস আছে যা অবশ্যই ট্রাই করতে পারেন। আপনি চাইলে পুরী ও তার আশেপাশের অংশ গুলিও খুব ভালো করে দেখতে পারেন। এই ট্রিপে বেশিরভাগ মানুষ একরাত পুরীতে গিয়েও কাটান।
জন্যপ্রতি খরচ : মাথাপিছু এই ভ্রমণে আপনার ৪০০০-৫০০০ টাকা খরচ হবে। পুরী ও তার আশেপাশের অঞ্চলে সব জিনিসের দাম খানিক বেশি। তাই সেই জায়গা ঘুরতে গেলে বাজেটের চিন্তা আগে থেকে করে নেবেন তাহলে খানিক উপকৃত হবেন।