অনেক হল একঘেয়ে দীঘা-পুরী! ভ্যাপসা গরমে স্বর্গ সুখ পেতে ঘুরে আসুন কাছের এই সমুদ্র থেকে

সমুদ্রের তীরে ঘুরতে যেতে কার না মন চায় বলুন তো? আর সমুদ্রে ছুটি কাটানো মানেই তো বাঙালিদের মনে আসবে দীঘা কিংবা পুরী। তবে ওড়িষ্যায় একাধিক দুর্দান্ত সি-বিচ আছে যেখানে আপনি ঘুরে আসতে পারেন। সেই সমস্ত জায়গার নাম অনেকে জানেন না। যাবেন নাকি তারই মধ্যেকার দুর্দান্ত একটি বিচে। দীঘা কিংবা পুরী তো অনেক হলো এবার সময় এসেছে এই অফবিট জায়গা গুলি ঘোরার। ঘন নীল সমুদ্র, সবুজ বনাঞ্চল এবং সোনালী বালুকাবেলা নিয়ে তৈরী একটি দুর্দান্ত জায়গা এই আস্তারাঙ্গা সমুদ্র সৈকত। তাহলে চলুন আজ এই ছবির মতো শহর থেকে আপনাদের বাড়ি বসে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।
অবস্থান – ওড়িষ্যা রাজ্যের চুরিয়ানা জেলায় অবস্থিত এই আস্তারাঙ্গা সমুদ্র সৈকত। পুরী থেকে সেই স্থানের দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। ভুবনেশ্বর থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আস্তারাঙ্গা। ম্যাপে দেখলে একদম নিচের দিকে সেই স্থানের জায়গা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন – প্রথমে ট্রেনে আপনাকে পুরী বা ভুবনেশ্বর স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকেই বাকি পথ গাড়ি বা বাসে যেতে হবে। বিমানে গেলে ভুবনেশ্বর ৬৮ কিমি পথ যেতে হবে গাড়িতে। বাসে গেলে সেই পথ যেতে আরও বেশি সময় লাগবে।
থাকার ব্যবস্থা – বেশ কিছু হোটেল ও রিসর্ট আছে। আপনি চাইলে সেখানেই থাকতে পারবেন। তবে এই আস্তারাঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেশিরভাগ মানুষ যান একদিনের জন্য পিকনিক করতে। তাই সেখানে বেশি থাকার জায়গা নেই বললেই চলে।
কি কি দেখবেন –
- এটি মূলত একটি শান্ত, নৈসর্গিক, আকর্ষণীয় সি-বিচ।
- সোনালি বালির উপর খালি পায়ে হেঁটে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যেতে আপনার এক অন্যরকম ভালো লাগবে।
- সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময়গুলি সি বিচের পাশে বসিয়ে কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারবেন।
- ওয়াটার স্পোর্টস এখনও সেখানে কিছু নেই। তবে পর্যটকের কাছে একজনের কাছে মাছ ধরার এবং তাজা মাছ গ্রিল করার মতো বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করার বিকল্প রয়েছে সেখানে।
- সেখানে থেকেই পাশে জাহানিয়া পীর, টারটেল নেস্ট অর্থাৎ শত শত কচ্ছপ কে একসাথে দেখতে পারবেন। বালির উপরে এই বিরল প্রাণীকে দেখলে নিজের ক্যামেরায় সেই বিরল মুহুর্ত ধরে রাখতে ভুলবেন না।
খরচ – প্রথমেই বললাম বেশিরভাগ মানুষ সেখানে যান একদিনের জন্য পিকনিক করতে। তাই সেখানে গেলে খরচ হবে নাম মাত্র। তবে দুটো দিন সেখানে গিয়ে কাটালে আপনার ৪০০০ টাকার মধ্যে হোয়ে যাবে।