Travel : অনেক হল একঘেয়ে দীঘা-পুরী-ডুয়ার্স! পশুপাখিদের সাথে সময় কাটাতে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই স্থান থেকে

এই গরমে প্রকৃতির মাঝে গাছেদের কোলে ঘুরতে যাবেন নাকি? যা গরম তাতে দীঘা কিংবা পুরি আপাতত বন্ধ। পাহাড় বেশ ঘোরা। এবার তবে সুন্দর পরিবেশে আপনার গন্তব্য হতে পারে রাজস্থানের রন্থমবর ন্যাশনাল পার্ক। দুর্দান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে এই জায়গা যেতে আপনার খারাপ লাগবে না। সাথেই জানা অজানা পশু-পাখির সম্ভার আছে সেখানে। চলুন তাহলে আমাদের কলমে আপনাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসি রাজস্থানের রন্থমবোর ন্যাশনাল পার্ক থেকে।
ইতিহাস – রন্থমবোর জাতীয় উদ্যানটি উত্তরে বনাস নদী এবং দক্ষিণে চম্বল নদী দ্বারা আবদ্ধ। ১,৩৩৪ স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। ১৯৭৩ সালে এখানে ‘ব্যাঘ্র প্রকল্প’ চালু হয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে এটি ‘জাতীয় উদ্যানের’ শিরোপা পায়।
কোন সময়ে যাবেন – অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই পার্ক খোলা থাকে। অন্যদিকে শীতের সময় বন্যপ্রাণীরাও দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় আসে তাই সেই সময়ে ঘোরার জন্য সবথেকে অনুকূল।
কি কি দেখবেন – বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র আলাদা করে তৈরী করা হয়েছে। ফ্ল্যামিঙ্গো, ফ্লাইক্যাচার, ওয়াটারফাউল, সারস ক্রেন, গ্রে হর্নবিল, কর্মোরান্ট, সর্পেন্ট ঈগল, ব্রোঞ্জ-ডানাওয়ালা জাকানা, পেইন্টেড স্পারফাউল এবং নাইটজারের এক সে বিদেশী পাখির দেখা পাওয়া যাবে।
আমাদের পশ্চিমবঙ্গের রাজা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সেখানে দেখতে পাবেন। সাথেই বেশ কিছু চিতাবাঘ আছে যা হামেশাই দেখা যায়। এছাড়া নীলগাই, বুনো শুয়োর, সাম্বার, রুফাস লেজযুক্ত খরগোশ, টোডি ক্যাটস, স্লথ বিয়ার, কুমির প্রভৃতি পশুর আছে। বিষাক্ত কিছু প্রজাতির সাপেরও আনাগোনা আছে। পার্কের ভিতরেই পদম তালাও, মালিক তালাও, রাজবাগ তালাও এবং সুরওয়াল লেক আছে। অভয়ারণ্যের মধ্যে রন্থমবোর দুর্গ এখনও বর্তমান। সেই নামেই পরে সম্পূর্ণ উদ্যানের নামকরণ করা হয়।
কিভাবে যাবেন – কলকাতা থেকে ট্রেনে কিংবা বিমানে পৌঁছে যান জয়পুর। সেখান থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করেই চলে যেতে পারবেন মাধপুর জেলার রন্থমবোর ন্যাশনাল পার্কে যা ১৫০ কিলোমিটার দূরে।