Travel : ভুলে যাবেন দীঘা-পুরীর সৌন্দর্য! স্বল্প খরচে ঘুরে আসুন দুর্দান্ত এই জায়গা থেকে, গেলে মন চাইবে না ফিরতে
অনেক তো ঘুরলেন একঘেয়ে দীঘা-পুরী-দার্জিলিং, স্বাদ বদলাতে এবারের যাত্রা হোক দুর্দান্ত এই অচেনা দ্বীপ, একবার গেলেই পরে যাবেন প্রেমে।

কথাতেই আছে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি। কাজের ব্যস্ততার মাঝে অল্প একটু ছুটি পেলেই এদিক ওদিক ঘুরতে বেরিয়ে যান বাঙালিরা। তবে বাঙালিদের সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়ার কথা মাথাতে আসলেই প্রথমেই মনে পড়ে দীঘা কিংবা পুরীর কথা। আবার কারোর যদি পাহাড়ে ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করে তাহলেই প্রথম পছন্দ দার্জিলিং। আসলে বারবার ‘দি-পু-দা’ গেলেও এই জায়গা যেন কখনোই পুরনো হয় না। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা ভিড়ের কারণে যেতে চান না দীঘা। তেমন পর্যটকদের জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন। নিভৃতে নির্জনে প্রিয় মানুষের সঙ্গে যারা সময় কাটাতে চান তাদের জন্য সেরা ঠিকানা বাঙ্গারাম সমুদ্র সৈকত (Bangaram Island)। কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন, জেনে নিন খুঁটিনাটি।
লাক্ষাদ্বীপের নাম কমবেশি সকলেই শুনেছেন। এই দ্বীপে ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন সকল পর্যটক। প্রকৃতির হাতছানি যেন বারে বারে ডাক দেয় সাধারণকে। এখানকার সুন্দর সৈকত, প্রবাল প্রাচীর এবং আবহাওয়া মুগ্ধ করে দেবে আপনাকে। তবে এই দ্বীপের আশেপাশেই রয়েছে বাঙ্গারাম সমুদ্র সৈকত (Bangaram Sea Beach)। প্রায় 1.234 বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সমুদ্র সৈকত। এখানকার আবহাওয়া মুহূর্তের মধ্যেই দূর করে দেবে আপনার সমস্ত ক্লান্তি।
বাঙ্গারাম দ্বীপে (Bangaram Island) ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। আসলে এই সময় শান্ত, মনোরম পরিবেশ বজায় থাকে সমুদ্র সৈকতে।
আকর্ষণীয় স্থান : বাঙ্গারাম সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যাবে আগত্তি সমুদ্র সৈকত, মিনিকয় সমুদ্র সৈকত, ক্যানোয়িং সহ বেশ কিছু আশেপাশের জায়গায়।
অভিজ্ঞতা : এখানে ঘুরতে গেলে স্কুবা ড্রাইভিং করার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। গভীর সমুদ্রে ডুব দিয়ে সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে করতে পারবেন খেলা।
কীভাবে যাবেন : যদি কেউ বিমানে বাঙ্গারাম সমুদ্র সৈকতে যেতে চান তাহলে যেতে পারবেন আগত্তি বিমানবন্দর পর্যন্ত। এখান থেকে মাত্র 16 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাঙ্গারাম সমুদ্র সৈকত। রেলপথে কোনোভাবেই যাওয়া যাবে না এই সমুদ্র সৈকতে। তবে পর্যটকেরা চাইলে যেতে পারেন জলপথে।