
ভারতে মানুষ সবথেকে বেশি উত্তরে ঘুরতে যান। এই কথা আমরা শুনলেও তা কিন্তু সত্যি নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘুরতে যান দক্ষিনে। আর তার মধ্যেই একটা বিশেষ জায়গা হলো কেরালা রাজ্যের ছোট্ট একটি শহর যার নাম আলেপ্পি। এই আলেপ্পি শহরকে প্রাচ্যের ভেনিস বলা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ শহর জুড়ে ইতালির সুসজ্জিত শহরের কথাই মনে পড়বে আপনার। কলকাতা থেকে ট্রেনে আপনি কেরালা চলে যেতে পারবেন। আলেপ্পি জংশন এখানকার সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন।
বিমান পথেও যেতে পারেন সেক্ষেত্রে খরচ বেশি হলেও সময় লাগবে সামান্য। আলেপ্পিতে গেলে বড়ো বড়ো হোটেল নয় বরং জলের উপরে হাউজ বোটে থাকতেই হবে। আধুনিক হাউজবোর্ডগুলিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর, অত্যাধুনিক শৌচাগার, বারান্দা সহ সমস্ত ধরনের সুযোগ সুবিধাই রয়েছে। জলে ভেসে থাকতে থাকতে নদীর ধারের সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখার আনন্দই আলাদা সাথে আবার যদি ভালোবাসার মানুষটি থাকে তাহলে আর কথাই নেই।
ভেমবানাড় হ্রদ, আলেপ্পি বিচ, মারারি বিচ, কৃষ্ণপুরম প্যালেস, পথিরমনল, কুট্টানড় ব্যাকওয়াটার, আর্থুকল চার্চ, অম্বালাপুঝা মন্দির, মন্নারশালা মন্দির, কারুমাদিকুট্টন মূর্তি, সেন্ট মেরি রোরান চার্চ, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসালয় এগুলি আলেপ্পির বিখ্যাত ঘোরার জায়গা একটা ছোট গাড়ি ভাড়া করে এগুলি ঘুরে নিতে পারেন। কেরালা কিন্তু একটু কস্টলি যারা গেছেন তারা জানবেন তাই আগে থেকে নিজেদের বাজেট অবশ্যই নিশ্চিত করে যাবেন।
আলেপ্পির ব্যাকওয়াটারের কায়াকিং করতে পারেন যা জীবনের অন্যতম অভিজ্ঞতা হবে। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁদের কায়াকিং অসাধারণ লাগবে। পুন্নাপরা সমুদ্র সৈকত, থুম্পোলি সৈকত, আলাপ্পুঝা সৈকত, মারারি সৈকত এগুলিতে নিজের মতো স্নান করতে পারবেন ও সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তটি নিজে চোখে দেখতে পারবেন। কেরালার খাবার ইডলি কিংবা আপ্পম ছাড়াও পুট্টু, কোঝি কারি, আদা প্রধামন, সেমিয়া পায়সম এই ভ্রমনের মধ্যে অবশ্যই চেখে দেখবেন। সব মিলিয়ে প্রাচ্যের ভেনিসের এই ট্যুর আপনার খারাপ লাগবে না।