একঘেয়ে দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! অল্প টাকায় ঘুরে আসুন কাছের এই ৫ টি জায়গা থেকে, মিলবে অপার শান্তি

ঘুরতে যেতে আমরা কেইনা পছন্দ করি বলুন তো দেখি? তবে, সবসময় বেশি বাজেটে ঘুরতে যাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর কম পয়সার মধ্যে দিপুদা প্রায় সকলেরই ঘোরা। তাহলে যাবেনটা কোথায় তাই ভাবছেন নিশ্চই? সেক্ষেত্রে আপনাদের এমন কয়েকটি জায়গায় সন্ধান দেব যা আপনারা মাত্র হাজার পাঁচেক টাকা হলেই ঘুরে ফেলতে পারবেন। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক জায়গাগুলি কি কি।
১.দারিংবাড়ি
ওড়িশাতেই যে একটি কাশ্মীর রয়েছে তা জানা আছে কি কারোর? এটি হল ওড়িশার কান্ধামাল জেলার শৈলশহর দারিংবাড়ি। যাকে ভ্রমনার্থীরা ভালোবেসে নাম দিয়েছেন ‛ওড়িশার কাশ্মীর’। কিন্তু এখানে কি দেখার আছে এমনকি এখানকার ওয়েদারই বা কেমন তাই ভাবছেন নিশ্চই? তাহলে বলে রাখি যে, সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৯১৫ মিটার উচ্চতায় এটির অবস্থান। এখানে রয়েছে লুদু জলপ্রপাত, পুতুদি জলপ্রপাত, মরুবান্দা জলপ্রপাত। এছাড়াও রয়েছে দুলুরি নদী। গরমকালে এই জায়গার তাপমাত্রা ৩০ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করে। আর শীতে থাকে মাইনাসে।
তবে, সবই তো হল কিন্তু যাবেন কিভাবে তাই ভাবছেন নিশ্চই? তাহলে শুনুন দারিংবাড়ির সবচেয়ে কাছের রেলস্টেশন হল বেরহমপুর। আর কাছের এয়ারপোর্ট হল ভুবনেশ্বর। গাড়ি ধরে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। হোটেল এবং বাংলো সবই রয়েছে।
২.তাড়েভিড়
গ্যাংটক, পেলিং এগুলোর নাম সকলেই যেমন শুনেছেন তেমন অনেকেই আবার অনেকবার করে গেছেন। তবে, চাইলে আপনি দক্ষিণ সিকিমের তাড়েভিড় থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সাদাম গ্রামে অবস্থিত উঁচু একটি পাহাড়ের দীর্ঘ শৃঙ্গ হল এই তাড়েভিড়। এটি দেখতে অনেকটা চীনের প্রাচীরের মতো। এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ারও রয়েছে। যেখান থেকে আপনি উত্তরে তুষারময় পর্বতমালা, পূর্বে কালিম্পং শহর, দক্ষিণে তিস্তা ও রঙ্গিতের সঙ্গমস্থলের কিছু দৃশ্য দেখতে পাবেন। এমনকি এখানে রয়েছে চা বাগান।
৩.ডুবলাগড়ি বিচ
অনেক মানুষই আছেন যাদের পাহাড়ের চেয়ে সমুদ্র বেশি পছন্দ। আর সেক্ষেত্রে আপনারা ছুটিতে সমুদ্রের হাওয়া খেতে চলে যেতে পারেন ডুবলাগড়ি বিচে। নির্জন, নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতের পাশে ঝাউবনের জঙ্গলে থাকা সঙ্গে সারি সারি লাল কাঁকড়া দেখা ও জোয়ারের সময় সমুদ্রে স্নান করার মজা নিতে কেই না চায় বলুন তো দেখি। এমনকি পাশেই রয়েছে বাগদা বিচ। চাইলে সেটাও ঘুরে নিতে পারেন। কিন্তু কিভাবে যাবেন সেটাই প্রশ্ন তো? হাওড়া থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে বালাসোর স্টেশনে নেমে গাড়ি অথবা অটো ভাড়া করে এই বিচে আসতে হয়।
৪.ঝান্ডি
পাহাড়ের কোলে ছবির মতো সাজানো একটি গ্রাম হল ঝান্ডি। যেটি কীনা কালিম্পং এর খুব কাছে অবস্থিত। চারপাশে রয়েছে ফার, বার্চ, ওক, সাইপ্রাসের বন। শান্ত, নিরিবিলি। গাড়ি করে কালিম্পং, লাভার সাইটসিং করতে পারেন। এখান থেকে টাইগার হিল ও সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতাও সারাজীবন মনে থাকবে।
৫.নেতারহাট
সবুজ বন ও পাহাড়ে ঘেরা এটি ঝাড়খন্ড রাজ্যে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর উচ্চতা ৩,৬৯৬ ফুট। রাঁচি থেকে মাত্র কয়েকঘন্টার দূরত্বে এটি অবস্থিত। আপার ঘাঘরি জলপ্রপাত, সাদনি জলপ্রপাত, কোয়েল ভিউ পয়েন্ট, সানরাইজ পয়েন্ট সবই দেখতে পাবেন। নেতারহাটকে ছোট নাগপুরের ‛রানী’ বলা হয়।