কিভাবে বুঝবেন কোন সাপের বিষ আছে? দেখে নিন একনজরে

সাপের নাম শুনলে ভয় পান না এমন মানুষ বোধহয় পৃথিবীতে নেই। বর্তমানে চলছে বর্ষার মরসুম। আর এইসময় গ্রামে গঞ্জে বাড়ে সাপের উপদ্রব। প্রায়সময়ই শোনা যায় সাপের কামড় খাওয়ার ঘটনা। এমনকি বহু বাড়িতে সাপের ঢোকার ভিডিও ভাইরাল হয়। বলতে গেলে বর্ষাকাল মানেই সাপের আতঙ্কের সময়। তবে, সব সাপ কিন্তু বিষধর হয়না। তবে, সাপ কামড়ালে সঠিক সময়ের মধ্যে চিকিৎসা করাতে পারলে কিন্তু আর কোনো ভয় থাকেনা।
গ্রাম বাংলায় মূলত চার ধরণের বিষধর সাপ রয়েছে। যেগুলির বিষ এতটাই মারাত্মক যে, কাউকে ছোবল দিলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। আর সেই সাপের মধ্যে রয়েছে কেউটে, চন্দ্রবোড়া, গোখরো, কালাচ বা কালচিতি সাপ। তবে, এগুলো ছাড়াও আরও নানান ধরণের সাপ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়না কোন সাপ বিষধর আর কোন সাপের বিষ নেই। আজ আপনাদের বলবো বিষধর ও বিষহীন সাপ চেনার উপায়।
বিষধর সাপ চেনার উপায় :
- এই সাপের মাথা ত্রিভূজাকার হয়।
- বিষধর সাপের মনি লম্বাটে হয়।
- বিষধর সাপের বিষদাঁত লম্বাটে হয়।
বিষহীন সাপ চেনার উপায় :
- বিষহীন সাপের মাথা গোল হয়।
- বিষহীন সাপের মনি গোল হয়।
- এদের দাঁত থাকলেও বিষগ্রন্থি থাকে না। এমনকি অনেক সময় এদের দাঁত লম্বাটে হয় না।
তবে, বিষধর সাপ বলুন বা বিষহীন সাপ যাই বলুন না কেন সাপ কামড়ালে দেরি না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু তার আগে কি করবেন? সাপ কামড়ালে কি করা উচিত সেটাও জানাবো এই প্রতিবেদনে
- রোগীকে চলাফেরা করতে দেবেন না।
- শরীরে কোনো বাঁধন দেবেন না।
- ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
তবে, সাপের উপদ্রব কমাতে কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করুন। এমনকি বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখুন। এমনকি বাড়িতে যাতে ইঁদুরের উপদ্রব না থাকে সেদিকে নজর রাখুন। এছাড়াও ঘরোয়া কিছু টোটকায় এই যেমন ধরুন লাল সাবানের টুকরো, সালফারের গুঁড়ো, ন্যাপথলিন গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো বা গোলমরিচ গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে, ভিনিগার ছড়িয়ে এসব দিয়ে সাপ তাড়াতে পারেন।