Offbeat

Knowledge Story : রাখী বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয়? ৯৯% মানুষই জানেন না!

আর মাত্র একটি রাত। আর তারপরই রাখি। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনে সকল বোনেরা তাদের ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেন। আর ভাইয়েরাও বোনেদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। মূলত ভাইবোনের ভালোবাসা ও উৎসর্গের প্রতীক হিসেবেই এই উৎসবকে বিবেচনা করা হয়। বহু বছর ধরেই ঘরে ঘরে এমনকি রাস্তায়ও এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে।

কিন্তু জানেন কি, এই উৎসব পালন করার পিছনে থাকা আসল কারণ? অনেকের কাছেই এই বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। আজকের এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী শিশুপাল ১০০ টি অপরাধ করার পর শ্রীকৃষ্ণ তাকে হত্যা করার জন্য যুদ্ধে নেমেছিলেন। আর তখন যুদ্ধ করতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের তর্জনী কেটে রক্তপাত শুরু হয়েছিল। সেইসময় দৌপ্রদী তার শাড়ির আঁচল কেটে শ্রীকৃষ্ণের হাতে বেঁধে দিয়েছিলেন।

আর তখন শ্রীকৃষ্ণ তাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর সেইমতোনই শ্রীকৃষ্ণ ধৃতরাষ্ট্রের দরবারে দৌপ্রদীর বস্ত্র হরণের সময় তার সম্মান রক্ষা করেছিলেন। আর তখন থেকেই নাকি এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। তবে, ভগবত পুরান ও বিষ্ণু পুরাণের ভিত্তিতে বিশ্বাস করা হয় যে, ভগবান বিষ্ণু রাজাবলিকে পরাজিত করে তিনটি জগতের অধিকার নিয়েছিলেন। আর তখন রাজাবলি বিষ্ণুর আশীর্বাদ স্বরূপ তাকে তাঁর প্রাসাদে থাকার অনুরোধ করেছিলেন।

এরপর ভগবান বিষ্ণু এই অনুরোধে রাজি হন। যারফলে তিনি নিজের বরেই নিজে আটকে যান। আর এই সময় মা লক্ষী নারদ মুনির সাহায্য নেন। এরপর মা লক্ষী বলীর হাতে রক্ষা সুতো বেঁধে তাকে ভাই বানিয়ে নেয়। তারপর বলী লক্ষীকে তার পছন্দমতো উপহার চাইতে বলেন। যথারীতি মা লক্ষী উপহার হিসেবে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাই বলেন। আর এই ভাবেই রাখি উৎসবের প্রচলন হয়।