Scientific Reason : অটোটে হলুদ রং করা থাকে কেন? জানুন এর পিছনের বৈজ্ঞানিক কারণ

রাস্তায় প্রতিদিন চলাচলের সময় আমরা বিভিন্ন যানবাহন দেখে থাকি। কলকাতার ঐতিহ্য যেমন ট্রাম, হলুদ ট্যাক্সি, মিনি বাস এসবগুলি। তবে বহু বছরের পুরোনো সাথী ও কলকাতার রাস্তায় চলার বন্ধু কিন্তু হলুদ অটো। তিন চাকার এই ছোট যান কার্যত অলি গলি দিয়ে সহজেই আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। আপনি যখন এই অটোগুলো দেখেন, নিশ্চয়ই কখনও না কখনও ভেবেছেন অটোর রং হলুদ কেন?
Scientific Reason Behind The Yellow Colour Of Auto
দেখতে ভালো লাগার জন্য নয়, অটোর হলুদ রং করার পিছনে আছে নিরাপত্তাজনিত বৈজ্ঞানিক কারণ (Scientific Reason)। তবে ৯৯% মানুষই জানেন না কেন এই অটো গুলির রং করা হয় হলুদ ও সবুজ। তবে জানেন নিশ্চয়ই রঙের Vibgyor হল সাতটি রঙের সংমিশ্রণ, যার মধ্যে রয়েছে বেগুনি, আকাশি, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল। যেমন বেগুনি রং খুব ক্ষীণ কিংবা কম দেখা যায় তেমনই কিন্তু লাল রঙে তীব্রতা সবথেকে বেশি।
যে কারণে লাল রং ব্যবহার করে রাস্তায় বিপদ সংকেত বা ট্র্যাফিক লাইটের জন্য ব্যবহৃত হয়, দ্বিতীয়টি আসে হলুদ রঙ, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য লালের চেয়ে কম তবে নীলের চেয়ে বেশি। যে কারণে হলুদের পরেই অটোতে স্থান পেয়েছে সবুজ রংটি। আপনাদের জানিয়ে রাখি লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৬৫০ ন্যানোমিটার পাশাপাশি হলুদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৫৮০ ন্যানোমিটার।
যে রঙে ন্যানোমিটার যত বেশি হবে অনায়েসেই সেই রং সবথেকে দূর থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। তাই অটো কিংবা ট্যাক্সি যাতে মানুষ দূর থেকেই দেখতে পান ও ডাকতে পারেন সেই কারণেই এই বিশেষ রং ব্যবহার করা হয়। তাহলে বুঝলেন যে প্রকৃত বৈজ্ঞানিক কারণের (Scientific Reason) জন্যই এই রং গুলি প্রাধান্য পেয়েছে।