
বাংলায় আজ পর্যন্ত যা তৈরী হয়েছে কিংবা স্বীকৃতি পেয়েছে তা পুরোপুরি ভাবেই একজন বাঙালির হাতে তৈরী। সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) সাধের শান্তিনিকেতন হোক কিংবা প্রখ্যাত মিষ্টি প্রস্তুত কারক নবীন চন্দ্র দাসের (Nabin Chandra Das) ‘রসগোল্লা’ (Rasogolla)। ১৮৬৮ সালে কলকাতায় প্রথম তিনি তার দোকানে রসগোল্লা প্রস্তুত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এক্কেবারে। জমিদারেরা তাকে বাড়িতে তুলে নিয়ে যান এই মিষ্টি তৈরী করানোর জন্য। সেসব না হয় এখন ইতিহাসের পাতাতেই ধুলো খাচ্ছে।
কিন্তু বাঙালির এই মিষ্টির ইংরেজি নাম অনেকেরই অজানা। বছরের পর বছর বিয়ে হোক কিংবা পুজো এই মিষ্টির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে বলা যায়। মিষ্টির দোকানে কিছু মিষ্টি থাকুক আর না থাকুক এই বিখ্যাত রসগোল্লা থাকবে তা নিশ্চিত। একসময় বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য উড়িশা দাবি করেছিল রসগোল্লা প্রথম তাদের তৈরী।
তবে রীতিমতো দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের পরে রায় দেওয়া হয় এই রসগোল্লা আসলে তৈরী পশ্চিমবঙ্গে। সেই ক্ষেত্রে বাংলার যে একটা বিশাল জয় হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মিষ্টির দোকানে গেলেই যে মিষ্টির দিকে সবার আগে নজর যায়, তা হল রসগোল্লা। এটি এক কথায় বাঙালির সিগনেচার মিষ্টি। এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রসগোল্লার ইংরেজি নাম কি? আপনি জানলে অবাক হবেন ৯৯ শতাংশ মানুষ উত্তর দিতে পারেননি এই প্রশ্নের।
আপনি জানেন ইংরেজিতে কি বলে সাধের এই মিষ্টিকে? ইংরেজিতে রসগোল্লাকে সিরাপ ফিল্ড রোল (Syrup Filled Roll) বলা হয়। এর আগে আপনি কি জানতেন এই দুর্দান্ত অজানা প্রশ্নের উত্তরটি? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।