
সাপ (Snake) দেখলে আমরা যে কেউ ভয় পাই। বিষাক্ত এই প্রাণীকে নিয়ে কেউ তেমন কথা বলতে চায় না। তবে জানেন কি পৃথিবীর সবথেকে বিষাক্ত সাতটি সাপের (7 Snakes Name) নাম? যারা এই প্রাণী নিয়ে চর্চা করেন তারা অনায়েসেই জানতে পারবেন। তবে আজ আপনাদের জানাবো দুনিয়ার সবথেকে বিষাক্ত সাতটি সাপের নাম –
১) নায়া নায়া – চলতি ভাষায় সাপটিকে আমরা গোখরো বলেই ডেকে থাকি। এর বৈজ্ঞানিক নাম নায়া নায়া। এটি স্থলভূমিতেই বাস করে। তবে এক ছোবলেই ছবি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এর ফণায় চশমার মত দুটি বলয় থাকে যা থেকে সহজেই এই সাপকে চিহ্নিত করা যায়।
২) সবুজ বোড়া– সবুজ বোড়া বা গ্রিন ভাইপার সাপকে স্থানীয়ভাষায় বলা হয় গাল টাউয়া সাপ। এর মাথার অংশ মোটা বলে এই নাম দেওয়া হয়েছে। মূলত পাহাড়ি এলাকার জঙ্গলে এই সাপ থাকে। আমাদের রাজ্যে সুন্দরবন এলাকায় আছে এই সাপ। গাছের মধ্যে কার্যত লুকিয়ে থাকে। তাই মানুষের মুখে, মাথায় এবং গায়ে ছোবল বসায়।
৩) নায়া কাউচিয়া– এটি একটি গোখরো প্রজাতির বিষাক্ত সাপ। স্থানীয়ভাবে একে জাতি সাপ বা জাত সাপও বলা হয়। কার্যত প্রচন্ড বিষাক্ত এই সাপটি গভীর জঙ্গলেই বাস করে।
৪) চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার– নতুন করে এই সাপ সম্পর্কে কিছু বলার নেই। চন্দ্রবোড়ার আরেক নাম উলুবোড়া। মারাত্মক বিষাক্ত এই সাপকে সবাই ভয় পায়। এই সাপ কাটলে স্নায়ু অবশ হয়ে আসে যার ফলে রক্ত জমাট বেধে মানুষের মৃত্যু হয়।
৫) কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়– নামের মধ্যেই যার রাজা লুকিয়ে আছে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কত বিষাক্ত। সাপেদের রাজ কিন্তু কিং কোবরা। একে রাজ গোখরোও বলা হয়। ভয়াবহ বিষধর এই কোবরা আকৃতিতে বেশ লম্বা। শঙ্খচূড় মূলত ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, বার্মা, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন এইসব দেখে পাওয়া যায়।
৬) কালো নাইজার– এটিও শঙ্খিনী জাতের সাপ। দেখতে খুবই সাধারণ। তবে একবার কাটলে আর রক্ষা নেই। নোয়াখালী এবং সুন্দরবন অঞ্চলে আইও সাপের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
৭) ক্রেইট বা শঙ্খিনী– হামেশাই বাড়ির মধ্যে ঢুকে পরে এই সাপ। এই সাপকে শঙ্খিনী এবং শাঁকিনী সাপ বলা হয়। পৃথিবীতে ক্রেইট বা শঙ্খিনী জাতের সাপের মোট ৮টি প্রজাতি রয়েছে। তবে এখানে যে জাতের সাপ দেখা যাই সেটা কেউটে। নোংরা আবর্জনা ও ঝোপ ঝাড়ে বাস করে।