
ছোটবেলা থেকেই আমরা বইয়ের পাতায় পরে এসেছি যে, ভারত হল কৃষিপ্রধান দেশ। আর এই কৃষিপ্রধান দেশে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি চাষ হওয়া অতি সাধারণ একটি বিষয়। এমনকি বর্তমানে কৃষি ব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়েছে যে, মানুষজন দেশের মাটিতেও বিদেশি ফল ও শাকসবজি চাষ করছেন। আর যারফলে ধীরে ধীরে তারা লাভের মুখও দেখছেন। তবে, সাধারনের মধ্যেও কিছু এমন জিনিস থাকে যা হল অসাধারণ।
আর এই অসাধারণ জিনিস থেকে অসাধারণ কিছুই যে পাওয়া যায় তা সকলেই অনুমান করতে পারেন। কিন্তু এই অসাধারণ জিনিসটা কি তাই ভাবছেন নিশ্চই? সেসব তো বলবোই। তার আগে বলুন তো দেখি কোন সবজির চাষ করে চাষীরা সবচেয়ে বেশি লাভ করেন? জানা আছে কি উত্তর? আজকের এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
প্রথমেই বলে রাখি এই সবজিটি এমন একটি সবজি যেটা চাষ করলে আপনি কোটিপতি হতে পারেন। সেটির নাম হল হপ শ্যুট (Hoop shoot)। পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল সবজি এটি। এটি চাষ করতেও যেমন মোটা টাকা খরচ হয় তেমনই আবার এটি বিক্রি করেও আপনি মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন। ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এসব জায়গায় এই চাষ করা হয়। তবে, একবার ভারতের হিমাচল প্রদেশেও এই হপ শ্যুট চাষ করতে চেয়েছিলেন চাষীরা।
কিন্তু তারা ব্যর্থ হন। আসলে এই গাছের ফলনের জন্য বিশেষ এক ধরণের জলবায়ুর প্রয়োজন হয়। আর সেটা এখানে নেই। আসলে এটি একটি ১২ মেসে পাহাড়ি গাছ। সারাবছরই এর থেকে ফলন পাওয়া যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Humulus Lupulus। এটি গাঁজা গাছের প্রজাতি। এই গাছের মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষুধি গুন। মূলত এই গাছটি বিয়ার তৈরির কাজে লাগে। প্রথমদিকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার লোকেরা এটিকে আগাছা বলেই মনে করতো।
কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে তারা এই গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জানেন। হপ শ্যুটের (Hoop shoot) ফুলকে বলা হয় হপ কোন্স। এটি একদিকে যেমন বিয়ার তৈরির কাজে লাগে তেমনই এর ডাল ও পাতাকে সবজি হিসেবেও খাওয়া হয়। এই গাছটি ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এমনকি এরা ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। হপ শ্যুটকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও মূল্যবান সবজি বলা হয়। বলা যায় সাধারণ মানুষ এই সবজির নাগাল পায় না।
মূলত বড়লোক ও ধনকুবেরদের জন্যই এই সবজির (Vegetable) চাষ হয়। এই সবজির দাম শুনলে রীতিমতো মাথায় হাত পরবে আপনার। ১ কেজি হপ শ্যুটের (Hoop shoot) দাম ১ লক্ষ টাকা! কিন্তু কেন এত দাম সবজির সেই নিয়ে অনেকের মনেই কৌতূহল জাগতে পারে। সেক্ষেত্রে বলে রাখি যে, এই সবজি যেখানে উৎপাদন ও ভাঙা হয় তা খুবই পরিশ্রমের কাজ। এমনকি এই গাছের রোপন ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্যও অনেক টাকা খরচ হয়। আর সেকারণেই চাষীরা এতবেশী দাম নিয়ে থাকেন। এই গাছের মধ্যে অনেক ঔষুধি গুনও রয়েছে।