
দিনদিন যেভাবে সূর্যের দাবদাহ বেড়ে চলেছে তাতে রীতিমতো ঘরে থাকাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। গোটা দক্ষিণবঙ্গ যেন সূর্যের আগুনে পুড়ছে। বেশিরভাগ দিনই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকে। দিনে হোক বা রাতে গরমের জ্বালায় ঘুমোতে পারছেন না কেউই। যাদের ঘরে এসি (Ac) অথবা কুলার (Cooler) আছে তাদের আলাদা কথা। কিন্তু যাদের ঘরে নেই তাদের তো কষ্টের শেষ নেই। এমনকি সকলেই যে সবসময় সবকিছু কিনতে পারে তাও না।
আবার অনেকেই আছেন যারা বিলের ভয়ে বেশিক্ষণ এসিও চালান না। সেক্ষেত্রে এই গরমের কষ্ট থেকে কিভাবে সহজেই মুক্তি পাবেন সেটাই বলবো আজকের এই প্রতিবেদনে। আজকালকার দিনে বাজারে ঠান্ডা বিছানার চাদর বিক্রি হয়। আর সেটি থেকেই ঠান্ডা হাওয়া বের হয়। তবে, এটির মোক্ষম সুবিধা হল এটি চালালে খুব কম বিল খরচ হয়। এমনকি কোনো আওয়াজই হয়না। এটিকে দেখতে পুরো চাদরের মতো লাগে।
এই চাদরের এক প্রান্তের টিউবের ভিতরে একটি কুলিং ফ্যান ইন্সটল করা থাকে। যা ঠান্ডা হাওয়া পাঠিয়ে থাকে। এটিকে ঠান্ডা করার জন্য জেল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যা বাতাসের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ঠান্ডা হয়ে যায়। এছাড়াও এই চাদরে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি রিমোট থাকে। এমনকি বাতাস বের করার জন্য একটি টিউব থাকে। তবে, আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এটি এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে ১ ইউনিটেরও কম বিদ্যুৎ খরচ হয়।
আপনি চাইলেই এই চাদর যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। এটির ওজন মাত্র ২ কেজি। এতে টাইমারেরও ব্যবস্থা আছে। যারফলে আপনি চাইলেই ২,৩,৪ ঘন্টার এটিকে সেট করে দিতে পারবেন। অনলাইন থেকে অথবা যেকোনো অফলাইন স্টোর থেকে মাত্র ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে আপনি এই ঠান্ডা চাদরটি কিনতে পারবেন। তবে, মাথায় রাখবেন যে, এটি নোংরা হলে কিন্তু কাচা চলবে না। শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। তাহলে আর দেরি কিসের আজই গরম থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে আনুন এই চাদর।