
আজকালকার দিনে মানুষের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) অবদান অপরিসীম। মানুষের এমন অনেক অজানা কথার উত্তর মেলে এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। তেমনই প্রতিদিনের জীবন যাত্রায় এমন অনেক শব্দ আছে যা আমরা বহুবার ব্যবহার করি। কিন্তু কেন ব্যবহার করি, অথবা এই শব্দটিই বা কোথা থেকে এসেছে তা সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই থাকে না। চলুন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা সে বিষয়েই আপনাদের জানাবো।
সকলেই ফোনে কথা বলার সময় ‛হ্যালো’ শব্দটি বলে থাকেন। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এই হ্যালো (Hello) ওয়ার্ডটি দিয়েই কথোপোকথোন শুরু হয় কেন? আমরা সকলেই জানি যে, গ্রাহাম বেল সর্বপ্রথম টেলিফোন (Telephone) শব্দটি আবিষ্কার করেন। অনেকের মতে গ্রাহামবেলের (Graham Bell) প্রেমিকার নাম ছিল হ্যালো। আর তাই তিনি নিজের ভালোবাসা প্রকাশের জন্যই এই শব্দটি চালু করেন।
কিন্তু পরে শোনা যায় যে, এই তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। এটা যদি না হয় তাহলে আসল রহস্য কি? আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল প্রথমে তার সহকারীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু সেখানে নাকি তিনি হ্যালো (Hello) ওয়ার্ডটি বলেন নি। বরং বলেছিলেন আহয় (Ahoy)। যেটি Dutch শব্দ hoi থেকে এসেছে। আসলে গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করলেও হ্যালো কথাটি বলেছিলেন থমাস আলভা এডিসন (Thomas Alva Edition)।
জানেন কি টেলিফোন (Telephone) আবিষ্কারের শুরুতে কোনো রিং-এর ব্যবস্থা ছিল না। একপাশের লাইনের সঙ্গে অন্য পাশের লাইন যুক্ত ছিল। এরপর প্রয়োজন পড়লো সম্মোধনের। থমাস আলভা এডিসন ‛প্রিন্সিপাল অব রেকর্ডেড সাউন্ড’ আবিস্কারের সময় যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি হল ‛হ্যালো’ (Hello)। আর এই শব্দটি প্রথম লিপিবদ্ধ করা হয় ১৮২৭ সালে। আর তারপর থেকেই এই শব্দের প্রচলন শুরু।
এমনকি কারোর সঙ্গে দেখা হলেও আমরা সৌজন্যতার খাতিরে ‛হ্যালো’ (Hello) বলে থাকি। কিন্তু ‛হ্যালো’-এর চেয়ে ‛হাই’ শব্দটি অনেক বেশি ঘরোয়া। তাহলে জেনে গেলেন নিশ্চই হ্যালো শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়।