পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় ফুলের নাম কি? ৯৯% মানুষই জানেন না!

আমরা সকলেই স্বাধীন দেশের নাগরিক। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্থান যেমন একেকটি স্বাধীন দেশ তেমনই পশ্চিমবঙ্গ হল স্বাধীন দেশের অন্তগত একটি রাজ্য। প্রত্যেকটি দেশের যেমন প্রধান ফল, পশু, পাখি রয়েছে তেমনই আবার রয়েছে ফুল। আজ আমরা পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় ফুল কি এবং তার গুনগুন কি সেসব নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন তা দেখে নেওয়া যাক।
●পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় ফুলের নাম :
পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় ফুলের নাম হল ‛শিউলি‘। আসলে এই শিউলি গাছ নিকটানথিস প্রজাতির একটি গাছ। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হল ‛Nyctanthes Arbor-tristis Linn‘। তবে, জানেন কি এই শিউলি ফুলের আবার আরও অনেক নাম আছে। যেমন-শেফালী, হরসিঙ্গার।
●কোথায় কোথায় শিউলি ফুল পাওয়া যায় :
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও থাইল্যান্ড-এর কাঞ্চনাবুরি ও এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে শুরু করে পশ্চিমের নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত জুড়ে এই গাছ ছড়িয়ে আছে।
●শিউলি ফুলের বৈশিষ্ট্য :
- এই ফুলের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল এই ফুল গাছটি মধ্যপ্রদেশ এবং হিমালয় পার্বত্যর নিচে প্রচুর পরিমানে জন্মায়।
- এই ফুলটির গন্ধ খুব ভালো হয়।
- এই ফুলটির রং সাদা।
- এই ফুলটি রাতের বেলায় ফোটে। আর সকাল হতেই শুকিয়ে যায়।
●শিউলি ফুলের ধরণ :
- এই গাছটি দেখতে খুব একটা বড় হয়না। মূলত ১০ মিটার পর্যন্ত গাছটি বাড়তে পারে।
- এই গাছের কান্ড খুব মোটা কিংবা শক্ত হয়না। মাঝারি শক্ত হয়। তবে, এই গাছ অনেক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
- এই গাছের পাতা ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
- এই ফুলটিকে শরৎকাল ছাড়াও বারোমাসেই কম-বেশি ফুটতে দেখা যায়।
- শিউলি গাছকে বিষন্ন তরু নামেও ডাকা হয়।
●শিউলি গাছের উপকারিতা :
- খুশকি থেকে বাচতে শিউলি ফুলের বীজ ব্যাপক কার্যকারী।
- কৃমির ওষুধ হিসেবে শিউলি পাতা খুব কাজের।
- দিনে দুবার শিউলি পাতার রস গরম করে খেলে ঠান্ডা লাগা কমে যায়।
- রোজ এক কাপ জলে ২ টো শিউলি পাতা ২ টো তুলসী পাতা ফুটিয়ে খেলে বাতের ব্যাথায় উপশম পাওয়া যায়।
- ব্যাকটেরিয়া থেকে হওয়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের উপশমে শিউলি পাতার রস ব্যাপক কার্যকারী
- নিয়মিত শিউলি পাতার রস খেলে কাশির সমস্যা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
তাহলে জেনেই গেলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় ফুল কি। আর এর কি কি গুনগুন রয়েছে।