১০০ টাকার নোটের পিছনে কোন পাহাড়ের ছবি আছে? ৯৯% মানুষই জানেন না!

আমাদের ভারতীয় নোটের সংখ্যা অসংখ্য। ৫ টাকার নোট, ১০ টাকার নোট, ২০ টাকার নোট, ৫০ টাকার নোট, ১০০ টাকার নোট, ২০০ টাকার নোট এবং ৫০০ টাকার নোট। আবার ১০০০ টাকার নোট। তবেই এই নোটটি এখন আর মার্কেটে উপলব্ধ নেই। তবে এই টাকা গুলির মধ্যে গান্ধীজীর মূর্তি ছাড়া সবটাই আলাদা। সবার বৈশিষ্ট্য একেক রকম। কিছু কিছু নোটে রয়েছে পাহাড়ের ছবি, আবার কিছু নোটে রয়েছে অন্য কিছু। জানেন সবকটি নোটের উৎস কোথা থেকে?
আচ্ছা ছাড়ুন, সবটার না হলেও অন্তত ১০০ টাকার নোটের পেছনে যে পাহাড়ের ছবিটি আঁকা রয়েছে সেটির বিষয়ে কিছু বলুন! মনে রাখবেন এই সাধারণ জ্ঞান জানা সবার কাছেই খুব জরুরী। সরকারি বা বেসরকারি নানা পরীক্ষায় আসতে পারে এই সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নটি! মুলত ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারতীয় মুদ্রায় গান্ধীর ছবি প্রচলিত হয়। আমরা আজকে জানাবো ১০০ টাকার নোটে যে পাহাড়টি আছে, তার নাম কি!
সমস্ত ভারতীয়ের বিষয়টিকে জানা দরকার। আসলে অনেকেই মনে করেন এই পাহাড়টির নাম কৈলাস। আমাদের ভারতের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য উঠে এসেছে নোটে। এছাড়াও ১০০ টাকার নোটে রয়েছে দেশের ১৭ টি ভাষা। ইংরেজি, হিন্দি, সংস্কৃত, বাংলা, গুজরাটি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কোঙ্কনি,উর্দু, মারাঠি, নেপালি, অসমীয়া, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং মালয়ালাম। কিন্তু জেনে অবাক হবেন, এই পাহাড়ের নাম কৈলাস নয়। সকলের ধারণাই ভুল। ১০০ টাকার নোটের পিছনে যে পর্বতটি দেখতে পান সেটি হল পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র পিছনের অংশ।
এক্ষেত্রে হিমালয় পর্বত ছেড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা নেওয়া হল কেন? আসলে হিমালয় পর্বত মুলত নেপালে অবস্থান করে। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের সিকিম রাজ্যের নর্থ-ইস্ট ভারত এবং ইস্টার্ন নেপালের বর্ডারে অবস্থিত। ১০০ টাকার নোটের পিছনে যে ফটোটি দেখা যায়, সেটি কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের দক্ষিণ দিকে গোচেলা পাস থেকে দেখা যায়।নেপালি ভাষাতে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে কাঞ্চনজহা বলা হয়, লিম্বু ভাষাতে এটিকে সেবালঙ্গমা বলা হয়। এটি 8,586 মিটার উঁচু। কাঞ্চনজঙ্ঘা মূলত হিমালয় পর্বত শ্রেনীর একটি অংশ।