
সূর্যের দাবদাহে অস্থির সকলেই। গোটা দক্ষিণবঙ্গ যেন সূর্যের আগুনে পুড়ছে। বেশিরভাগ জেলারই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। আর এই গরমে এক প্রকার নাজেহাল অবস্থা মানুষ জনের। ক্ষণে ক্ষণে ঠাণ্ডা কিছু খেতে মন চায়। আর ঠাণ্ডা বলতে আইসক্রিম (Icecream) এর উপরে আর কিছু নেই। বাজারে বিভিন্ন ধরণের আইসক্রিম পাওয়া যায়। যার বিভিন্ন ফ্লেভার থাকে। আর এই গরমে যেকোনো আইসক্রিম হলেই মানুষজন চেটেপুটে খায়।
এই খাবারটির সূচনা হয়েছিল চিনে। এরপর ধীরে ধীরে এই খাবারটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঐতিহাসিকদের মতে ইতালির পর্যটক মার্কো পোলো চিনে এসেছিলেন। এরপর ক্রিম, দুধ, চিনি দিয়ে আইসক্রিম (Icecream) তৈরি করা হয়। আর এখান থেকেই আইসক্রিম তৈরির কৌশল শিখে ইউরোপে ফিরে যান মার্কোপোলো। তবে, আইসক্রিম তৈরির ইতিহাস নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
বর্তমানে গোটা দেশে আইসক্রিম (Icecream) তৈরি হলেও একটা সময় ইউরোপ দাবি করেছিল তাদের দেশেই প্রথম আইসক্রিম তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আদতে আইসক্রিম একটি ইংরেজি শব্দ। এর প্রকৃত বাংলা অর্থ অনেকেই জানেন না। বলতে গেলে ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে এটির বাংলা নাম অজানা। সাধারণত আইসক্রিমের বাংলা অর্থ কুলফি মালাই বা বরফ মালাই।
কিন্তু আমাদের দেশে আইসক্রিম (Icecream) ও কুলফির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। আর সেই অর্থে বলতে গেলে আইসক্রিমের প্রকৃত অর্থ হল ক্রিম বা বাটারফ্যাট, দুধ, চিনি দিয়ে তৈরি হিমায়িত দুগ্ধজাত খাবার। তবে, সবজায়গায় বাংলা না ইংরেজি আইসক্রিম শব্দটি বেশি পরিমানে ব্যবহৃত হয়।