
পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু ভিন্ন স্বাদের একটি রাজ্য। সকালে চায়ের থেকে দুপুরের পাতে ভাত মাছ। সন্ধের সময় দরকার চায়ের সাথে মুখরোচক স্ন্যাক্স আর রাতের ডিনারে হালকা অথচ হেলদি ডিনার। তবে সময় যত বদলাচ্ছে মানুষ নিজেদের শরীরের সম্পূর্ণ খেয়াল রাখছেন। তাই তো গ্রাম বাংলায় ভাতের থেকে এখন মুড়ি খাওয়ার চল বেশি।
ঘুগনি মুড়ি, চপ মুড়ি, চায়ের সাথে মুড়ি, পেটের সমস্যা থাকলে জল মুড়ি এসব খাবার নিশ্চয়ই আপনাদের চেখে দেখা আছে বহুবার। তবে ৯৯% মানুষ কিন্তু বলতে পারবেন না মুড়িকে ইংরেজি ও হিন্দিতে কি বলা হয়। কিন্তু ইতিহাস বলছে অন্য কথা। কয়েক বছর নয় বরং কয়েকশো বছর অর্থাৎ মৌর্য যুগেরও বেশ আগে থেকে মুড়ির প্রচলন হয়েছিল।
ধান থেকে তুলে তারপরে সেই চাল ভেজে মুড়ি তৈরী করা হয়। ধানের মতোই মুড়িরও বিশেষ কিছু ভাগ আছে। এক মুঠ মুড়িতে যেমন ক্যালরি আছে ঠিক তেমনই আছে প্রোটিন। শুধু তাই নয় শর্করা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম থাকে। জানলে অবাক হবেন আপনারা মুড়ির মধ্যে কোনোরকম কোলেস্টেরল থাকে না। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুড়ি খাওয়ার ধরণ বিভিন্ন রকমের আছে।
কিন্তু ইংরেজিতে মুড়িকে কি বলে জানেন? ইংরেজিতে মুড়িকে বলা হয় ‘Puffed Rice’। আবার পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া যারা হিন্দিভাষী তাঁরা মুড়িকে বলেন ‘মুরমুরে বা মুরমুরা’। শুধু বাংলা বা ভারতেই নয় মুড়ি আমেরিকা, ইতালি, ইংল্যান্ড সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে খুবই জনপ্রিয়। তাহলে রাজ্য বা দেশের বাইরে কোনোদিন যদি ঘুরতে যান মুড়ি খেতে ইচ্ছা হলে অবশ্যই আপনি ইংরেজি নাম ধরেই খুঁজতে পারবেন।